মাইক্রোবাসে অপহরণ করে চাঁদাবাজির অভিযোগে করা মামলায় এক আসামির জবানবন্দিতে নাম আসায় উত্তরা পশ্চিম থানার উপ-পরিদর্শক ওমর ফারুকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
Advertisement
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ও ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনারকে এ নির্দেশ দিয়েছেন উচ্চ আদালত। একই সঙ্গে দুই সপ্তাহের মধ্যে তাকে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন। এসআই ওমর ফারুকের আগাম জামিন আবেদন খারিজ করে এই আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আদালতে আজ আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. জাহাঙ্গীর কবির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক। আদেশের বিষয় নিশ্চিত করেছেন আইনজীবী আমিন উদ্দিন মানিক।
Advertisement
এজাহারে বাদী জয়দেবপুর মধ্যপাড়ার শফিকুল ইসলাম বলেন, গত ২৪ নভেম্বর জয়দেবপুরের পিরুজালী আলিমপাড়ার একটি খাবার হোটেলে আহসান হাবিব নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলার সময় তার (আহসান হাবিব) কয়েকজন সহযোগী সাদা রঙেয়ের হায়েস গাড়িতে তুলে চোখ বেঁধে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে দেয়। তারা মারধর করে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। এ সময় তারা মারধর করলে পকেটে থাকা ১০ হাজার টাকা দেই। পরে আসামিরা আমার স্ত্রীকে ফোন করে মুক্তিপণ দাবি করেন। তবে স্ত্রীর সঙ্গে কৌশলে কথা বলে জানতে পারি তারা ডিবি পুলিশ নন। এটি আসামিদের জানালে তারা রাত পৌনে বারোটার দিকে তুরাগ থানার কামারপাড়ায় চোখ বাঁধা অবস্থায় গাড়ি থেকে ফেলে দেন।
বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করলে আহসান হাবিবকে ওইদিন রাতে তার বাড়ি থেকে আটক করা হয়। পরে তিনি বিভিন্ন আসামির নাম বলেন। এর মধ্যে মো. শাহীন চৌধুরী নামের এক আসামির জবানবন্দিতে বিষয়টির সঙ্গে এসআই ওমর ফারুকের সংশ্লিষ্টতার তথ্য উঠে আসে।
এফএইচ/কেএসআর/জিকেএস
Advertisement