অর্থনীতি

রানা প্লাজা ধসে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানালো বিজিএমইএ

# নিহতদের স্মরণে করা হবে স্মৃতিস্তম্ভ

Advertisement

রানা প্লাজা দুর্ঘটনায় নিহত শ্রমিকদের স্মরণে তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ গার্মেন্ট ম্যানুফেকচার অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) উদ্যোগে রাজধানীর জুরাইন এলাকায় শোক র্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিজিএমইএ পরিচালনা পর্ষদের পক্ষে জুরাইন কবরস্থানে নিহতদের কবর জিয়ারত করা হয়েছে। এসময় বিজিএমইএ পরিচালক মো. নুরুল ইসলাম, মো. সোহেল সাদাত, নুশরাত বারী আশাসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

নুরুল ইসলাম বলেন, আজ থেকে ১১ বছর আগে সাভার রানা প্লাজা ধসে আমাদের শ্রমিক ভাই-বোনরা জীবন দিয়েছেন। তাদের আত্মত্যাগ আমাদের অপূরণীয় ক্ষতি। তাদের রুহের মাহফিরাত কামনা করি। একই সঙ্গে তাদের স্মরণে স্মৃতিস্তম্ভ করার প্রস্তাব করা হবে বিজিএমইএ বোর্ডে।

Advertisement

সোহেল সাদাত বলেন, আইএলওসহ সবার সহযোগিতায় নিহত ও আহত শ্রমিকদের পরিবারের পাশে ছিলাম। এখনো তাদের স্মরণ করি, তাদের পরিবারের পাশে আছি। ওই দুর্ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদের সেক্টরে পরিবর্তন এসেছে।

নুশরাত বারি আশা বলেন, ওই দুর্ঘটনায় শিক্ষা কমপ্লায়েন্স নিয়ে আমাদের কারখানায়। এখন পরিবেশবান্ধব কারখানা ২০০ ছাড়িয়েছে। শ্রমিকের নিরাপত্তাকে গুরুত্ব দেওয়া হয় সর্বোচ্চ। শ্রমিক-মালিকের মধ্যে নিরাপত্তা সচেতনতা এসেছে। নিরাপদ কারখানা বেড়েছে এবং বাড়ছে।

এর আগে ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল ঢাকার অদূরে সাভারের রানা প্লাজায় ঘটে এক ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়। আটতলা বাণিজ্যিক ভবনে অবৈধভাবে স্থাপন করা হয়েছিল কারখানা, সেটি ধসে পড়ে। নিহত হন এক হাজার ১৩৪ জন। আহত হন আরও দুই হাজারেরও বেশি পোশাকশ্রমিক। এ ঘটনায় হত্যা ও ইমারত নির্মাণ আইনে দুটি মামলা হয়। এর কোনোটিরই তেমন কোনো অগ্রগতি নেই। হত্যা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হলেও অন্য মামলায় রয়েছে স্থগিতাদেশ।

এ নিয়ে আসামি পক্ষ বলছে, দুই মামলায় বিচার শেষ না হওয়ায় বিচারহীনভাবে কারাগারে আটক সোহেল রানা। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ বলছে, মামলার অভিযোগ গঠন নিয়ে আসামিরা উচ্চ আদালতে যাওয়ায় সাক্ষ্য শুরু হতে কয়েক বছর চলে যায়। দ্রুত মামলা দুটি নিষ্পত্তি হবে বলে রাষ্ট্রপক্ষের প্রত্যাশা।

Advertisement

ইএআর/এমএএইচ/জিকেএস