অনেক দুঃখিত বলার আছে
Advertisement
আমার তোমার কাছে অনেক দুঃখিত বলার আছেতুমি ভীষণ ক্লান্তঘুমে ঢুুলুঢুলু করে তোমার চোখক্লান্ত, অবসাদে, ঘুমে তুমি নিস্তেজ হয়ে পড়তখনো আমি জোর করে জাগিয়ে গল্প করতে থাকিঅপ্রয়োজনীয় গালগল্প শুরু করিতখনো তুমি সব রেখে আমাকেই শুনতে থাকোসত্যি ছেলে, আমি অনেক দুঃখিত।
আমার তোমার কাছে অনেক দুঃখিত বলার আছেদুপুরের রোদে ভীষণ ক্লান্ত হয়ে বাসায় ফেরোঘর্মাক্ত শরীরে ক্লান্তি তোমার চোখে ভেসে ওঠেকেমন করে বিছানায় গা এলিয়ে দিতে চাওতখনো আমি বকবক করতেই থাকিতুমি তখনো ক্ষণিক আনন্দ নিয়ে কথা শোনোসত্যি ছেলে, আমি ভীষণ দুঃখিত।
****
Advertisement
গোপন ছেলে
একটা গোপন ছেলে রোজ আমায় ডাকেআমার হৃদয়ের পাশে বসতে চায়আমার চোখে চেয়ে থাকার জন্য বহুকাল বৃক্ষ হয়ে দাঁড়িয়ে আছেআমার জন্য বহুকাল অপেক্ষারত যাত্রী হয়ে আছেছেলেটি রোজ আমাকে ভালোবাসতে চায়হয়তো একদিন ছেলেটিকে মুঠো চেপে বলবোচলেন সংসার করি।
একদিন গোপন ছেলে রোজ বাক্যের সমহারে কথা বলেভীষণ ব্যস্ততায় আমার মুখটুকু দেখতে উদগ্রীব হয়ে পড়েআমার মুখপানে চেয়ে সকাল-সন্ধ্যা কাটাতে চায়সমস্ত বেদনায় আমার সঙ্গ পেতে অস্থির হয়ে ওঠেজীবনের রাস্তায় আমার হাত ধরে সুুুুখে মাততে চায়হয়তো একদিন ছেলেটির চোখে তাকিয়ে বলবোচলেন সংসার করি।
****
Advertisement
অবশ্যম্ভাবী
অনেক দূর হাঁটতে হাঁটতে ভীষণ ক্লান্তযেন নিজের ভেতরটুকু সোনালি শস্য মাঠের কৃষকের মতো হয়ে উঠেছিশ্রাবণের সন্ধ্যার মতো কত বৃষ্টি ঝরিয়েছিঅন্ধকারের পথিকের মতো দিকহীন হয়েছিএতটা ক্লান্ত যে তোমার আমার দেখা অবশ্যম্ভাবী হয়ে উঠেছেঅথচ আজও তুমি আমি অচেনা পথের পথিক।
অনেক দূর ভাসতে ভাসতে ভীষণ ক্লান্তজীবনের নদীতে সাঁতার কেটে অনেক পথ পাড়ি দিয়েছিবর্ষা-বাদলের মতো বহুকাল কাটিয়েছিজীবনে বহুবার পিচ্ছিল রাস্তায় একাকী হেঁটেছিএতটা ক্লান্ত যে তোমার আমার দেখা জরুরি হয়ে উঠেছেঅথচ এই শতাব্দিতে আজও কেউ কাউকে দেখিনি।
এসইউ/এমএস