গরমে যখন জনজীবন অতিষ্ঠ, ঠিক তখনই মধ্যরাতে নেমেছিল প্রশান্তির বৃষ্টি। তবে সেই প্রশান্তি স্থায়ী হয়নি বেশিক্ষণ। সকাল হতেই পাল্টে যায় আবহাওয়ার আচরণ। শুরু হয়েছে আবারও তাতানো রোদ।
Advertisement
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দাবদাহ থেকে মুক্তি পেতে বৃষ্টি চেয়ে ইসতিসকার নামাজ আদায় করা হয়। পরে মধ্যরাতে শুরু হয় বৃষ্টি। এসময় জনজীবনে স্বস্তি নেমে আসে। তবে সকাল হতেই আবার আগের অবস্থায় ফিরে গেছে আবহাওয়া।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে চুয়াডাঙ্গায় ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। আবহাওয়া অফিস বলছে, এ দাবদাহে আপাতত সুখবর নেই। তাপপ্রবাহ আরও কিছুদিন থাকবে।
চুয়াডাঙ্গা শহরতলির ব্যবসায়ী সাজিদুর রহমান বলেন, ‘রাতের বৃষ্টিতে তাপমাত্রা সহনীয় হবে এটাই আশা ছিল। কিন্তু সকালে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খোলার সময় প্রচুর রোদ আর অসহ্য গরম অনুভব করলাম।’
Advertisement
ভ্যানচালক লিয়াকত আলী বলেন, ‘খুব গরম পড়ছে। এ মাসের শুরু থেকেই দিনের বেলায় যাত্রী পাচ্ছি না। ভাবলাম বৃষ্টি হলো, গরম কমবে। কিন্তু গরম আরও বেড়েছে।’
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের সিনিয়র পর্যবেক্ষক রকিবুল হাসান বলেন, চুয়াডাঙ্গায় আজ বিকেল ৩টায় ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এসময় আর্দ্রতা ছিল ২১ শতাংশ।
তিনি আরও বলেন, গত রাতে কালবৈশাখীর প্রভাবে বৃষ্টিপাত হয়েছে। তবে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আপাতত বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই। এক-দেড় ঘণ্টা আগে ছাড়া ঝড়ের বিষয়টিও বলা সম্ভব নয় বলে জানান তিনি।
জেলা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা গেছে, ২০০২ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ২০১৪ সালের ২১ মে। সেদিন তাপমাত্রা ছিল ৪৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া ২০০৫ সালের ২ জুন ৪৩ ডিগ্রি, ২০১২ সালের ৪ জুন ৪২ দশমিক ৯ ডিগ্রি, ২০০৪ সালের ১৩ মে ৪২ দশমিক ৪ ডিগ্রি আর ২০০৯ সালের ২৭ এপ্রিল সর্বোচ্চ ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
Advertisement
২০২৩ সালের ১৯-২০ এপ্রিল সর্বোচ্চ ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। এছাড়া চলতি বছরের ২০ এপ্রিল ৪২ দশমিক ৫ ও ২২ এপ্রিল ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
হুসাইন মালিক/এসআর/জিকেএস