দেশজুড়ে

মুন্সিগঞ্জে জনসাধারণের জন্য পানি-ছাতা নিয়ে মাঠে প্রশাসন

তীব্র গরমে জনসাধারনের সুরক্ষা-সচেতনতায় জেলার জনবহুল স্থানগুলোতে খোলা হয়েছে সুপেয় পানির বুথ। একই সঙ্গে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বুথ থেকে নিন্ম আয়ের শ্রমিক-কর্মজীবিদের মাঝে বিতরণ করা হচ্ছে ছাতা।

Advertisement

বুধবার (২৪ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে শহরের উপকণ্ঠে মুক্তারপুর এলাকায় ও পরে ধলাগাঁও বাজারে কার্যক্রমের উদ্ধোধন করেন জেলা প্রশাসক আবু জাফর রিপন।

জানা যায়, এসব পানির বুথ থেকে পথচারী-সাধারণ মানুষ বিনামূল্যে পানি ও স্যালাইন খেতে পারছেন। এমন উদ্যোগ সাড়া ফেলেছে স্থানীয়দের মাঝে। পথচারী ও সুফলপাওয়া নিন্ম আয়ের মানুষরা জানিয়েছেন স্বস্তির কথা।

মুক্তারপুর এলাকার অটোচালক জুলহাস উদ্দিন জাগো নিউজকে বলেন, গরমে জীবন যায় যায় অবস্থা, তখন এক বোতল পানি কিনে খেতে হয়। জেলা প্রশাসন ফ্রিতে পানি স্যালাইনের বিতরণ করছে। ওখানে ফিল্টার করে পানি পান করার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এটা খুব ভালো উদ্যোগ। হাজার হাজার মানুষ যায় এ পথে। তাদের অনেক উপকার হবে।

Advertisement

ছাতা পাওয়া নারী আলেয়া বেগম জাগো নিউজকে বলেন, মুক্তারের একটা ফ্যাক্টরিতে কাজ করি। বাসা থেকে আইতে যাইতে রোদ পড়তো। একটা ছাতা কিনতে একদিনের খরচ লাগতো। তাই কিনতে পারছিলাম না। এখন ছাতা পেয়ে ভালো লাগছে। রোদে যাইতে আর কষ্ট হইবো না।

রামপালের ধলাগাঁও বাজারের কয়েকজন পথচারী ও গাড়ি চালক জানান, খুব ভালো কাজ হয়েছে এটা। সবাই উপকৃত হবে। আজ থেকে বাজারে অনেকে বিশুদ্ধ পানি খেতে পারবেন। লাইনম্যানসহ অনেক ছাতা পেয়েছে। তাদের চলাচলে সুবিধা হবে।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক আবু জাফর রিপন জাগো নিউজকে জানান, জেলার ৬৮টি ইউনিয়ন দুটি পৌরসভাসহ মোট শতাধিক স্থানে জনসচেতনতার অংশ হিসাবে বসানো হচ্ছে এমন বুথ। এসব বুথ থেকে প্রয়োজন অনুযায়ী পানি পান ও নিন্মআয়ের মানুষেরা ছাতা নিতে পারছেন। এতে পথচারীদের পানিশূন্যতা ও হিটস্ট্রোক থেকে বাঁচতে সচেতনা তৈরি করবে। এছাড়াও স্বাস্থ্য সচেতনতায় জেলার সর্বত্র করা হচ্ছে মাইকিং। যতদিন অসহ্য দাবদাহ থাকবে এ কার্যক্রম ততদিন চলমান থাকবে।

কর্মসূচির উদ্ধোধনে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অফিফা খানসহ জেলা প্রশাসন বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা ও স্থানীয় সুশীল সমাজের মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

Advertisement

আরাফাত রায়হান সাকিব/এনআইবি/জিকেএস