বায়ু দূষণ রোধে এবং তীব্র তাপপ্রবাহ কমাতে নগরের বিভিন্ন সড়কে দুটি স্প্রে ক্যানন এবং ১০টি ব্রাউজারের মাধ্যমে পানি ছিটাচ্ছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মেশিন দিয়ে পানি ছিটানো হচ্ছে। প্রতিটি গাড়িতে ১৫ হাজার লিটার পানি ধরে এবং একটানা ৫ ঘণ্টা স্প্রে করতে পারে।
Advertisement
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকাল ১০টায় বনানী নেভি গেট থেকে স্প্রের কাজ শুরু করে ক্যানন-১। এয়ারপোর্ট, উত্তরা হাউস বিল্ডিং হয়ে আবার বনানী কবরস্থান এলাকায় এসে কাজ শেষ করে।
অন্যদিকে ক্যানন-২ মিরপুর রোড বা মাজার রোড সিগন্যাল থেকে স্প্রের কাজ শুরু করে। এরপর গণভবন এলাকায়, মানিক মিয়া এভিনিউ, বিজয় স্মরণী, জাহাঙ্গীর গেট, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, ফার্মগেট, কাওরানবাজার, মগবাজার হয়ে গাবতলী গিয়ে পানি ছিটানো শেষ করে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএনসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা মকবুল হোসাইন জাগো নিউজকে জানান, ডিএনসিসি অত্যাধুনিক দুটি স্প্রে ক্যানন সড়কে পানি ছিটানোর কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। ডিএনসিসির আওতাধীন পুরো এলাকার মহাসড়ককে দুটি ভাগে ভাগ করে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত অত্যাধুনিক প্রযুক্তির এমন মেশিন দিয়ে পানি ছিটানো হচ্ছে। প্রতিটি গাড়িতে ১৫ হাজার লিটার পানি ধরে এবং একটানা ৫ ঘণ্টাব্যাপী স্প্রে করতে পারে। এছাড়া রাস্তা ভেজানোর জন্যও রয়েছে স্প্রিং লেয়ার সিস্টেম। এতে নগরে বায়ু দূষণের মাত্রা কমছে; পাশাপাশি তীব্র তাপপ্রবাহ কমাতে সহায়ক ভূমিকা রাখছে।
Advertisement
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, কোনো বিস্তৃত এলাকাজুড়ে নির্দিষ্ট সময় ধরে তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি থাকলে মৃদু, ৩৮ থেকে ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি থাকলে মাঝারি ও ৪০ থেকে ৪১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে তীব্র এবং ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি থাকলে তাকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বলা হয়।
এমএমএ/এমআরএম/এএসএম