আইন-আদালত

কতজন রোহিঙ্গা ভোটার হয়েছেন, উচ্চপর্যায়ের তদন্ত চেয়ে রিট

মিয়ানমারের রাখাইন থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা কতজন রোহিঙ্গা কক্সবাজারে নাগরিকত্ব পেয়ে ভোটার হয়েছেন তা খুঁজে বের করতে উচ্চপর্যায়ের অনুসন্ধান কমিটি করতে সরকারের সংশ্লিষ্টাদের প্রতি নির্দেশনা চেয়ে রিট আবেদন করা হয়েছে।

Advertisement

একই সঙ্গে ভোটার তালিকা থেকে রোহিঙ্গাদের বাদ দেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছে রিটে। এছাড়া সদর উপজেলার ঈদগাঁও ইউনিয়নের ভোটার তালিকা হালনাগাদ না করা পর্যন্ত ঘোষিত তফসিলে নির্বাচন ও ভোটগ্রহণ বন্ধ বা স্থগিত রাখার আর্জি জানানো হয়েছে।

রিটে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব, নির্বাচন কমিশন সচিব, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক ডিসি ও পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছ।

স্থানীয় ভোটার মো. হামিদুর রহমানের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া এ রিট দায়ের করেন। রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) হাইকোর্টের বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ আগামীকাল আদেশ দেওয়ার দিন ঠিক করেছেন।

Advertisement

রিটকারী আইনজীবী জানান, কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁও ইউনিয়নের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়ে বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নিয়েছেন ৪০ রোহিঙ্গা। তাদের তালিকা যুক্ত করে রিট আবেদন করা হয়েছে।

এছাড়াও একই ইউনিয়নে কয়েকশ (সাড়ে তিনশ) রোহিঙ্গা নাগরিক হয়েছেন বলে অভিযোগ তুলে তাদের নাগরিকত্ব থেকে বাদ দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোটার তালিকা হালনাগাদ না করা পর্যন্ত ওই ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন স্থগিত রাখার আর্জি জানানো হয়েছে রিটে বলেও জানান রিটকারী আইনজীবী।

তফসিল মতে, গত ১৪ মার্চ থেকে ২৮ মার্চ বিভিন্ন পদে মোট ৩৮৪ জন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৪৮, সাধারণ সদস্য ২৬৪ ও সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ৭২ জন প্রার্থী ছিলেন। ২ এপ্রিল থেকে ৫ এপ্রিল রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের ওপর আপিল নিষ্পত্তি করা হয়। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল ৮ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ হয়েছে গত ৯ এপ্রিল পর্যন্ত। আগামী ২৮ এপ্রিল ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতন শুরু করে দেশটির সেনাবাহিনী। এতে প্রাণভয়ে সীমান্ত পেরিয়ে ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। তাদের রাখা হয়েছে কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়ার আশ্রয় শিবিরে।

Advertisement

রোহিঙ্গারা জানায়, আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের কেউ কেউ বাংলাদেশের নাগরিকত্ব নিয়ে ভিন্ন কোনো দেশে চলে গেছে। কেউ আবার রোহিঙ্গা ক্যাম্প ছেড়ে কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকায় ব্যবসা করছে।

এফএইচ/বিএ/জেআইএম