টানা পাঁচ কার্যদিবস দরপতনের পর এক কার্যদিবস কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা দেওয়ার পর দেশের শেয়ারবাজারে মঙ্গলবার আবার দরপতন হয়েছে। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার পাশাপাশি সবকটি মূল্যসূচক কমেছে। তবে ডিএসইতে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ।
Advertisement
এর আগে ঈদের পর টানা পাঁচ কার্যদিবস দরপতনের পর সোমবার শেয়ারবাজারে কিছুটা ঊর্ধ্বমুখীতার দেখা মেলে। ফলে পতন কেটে শেয়ারবাজার ঊর্ধ্বমুখী ধারায় ফিরছে এমন আশাই ছিলেন বিনিয়োগকারীরা। কিন্তু মঙ্গলবারের বাজার চিত্রে বিনিয়োগকারীরা আবার হতাশ হলেন।
এদিন শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার মাধ্যমে। এতে লেনদেনের শুরুর দিকে ডিএসইর প্রধান সূচক ২৬ পয়েন্ট বেড়ে যায়। তবে প্রথম দুই ঘণ্টার লেনদেন শেষ হতেই বদলে যেতে থাকে বাজারের চিত্র। দাম বাড়ার তালিকা থেকে একের পর এক প্রতিষ্ঠান দাম কমার তালিকায় চলে আসে।
লেনদেনের সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে পতনের মাত্রা। ফলে একদিকে দাম কমার তালিকা বড় হয় অন্যদিকে সবকটি মূল্যসূচকের মোটামুটি বড় পতন দিয়ে দিনের লেনদেন শেষ হয়।
Advertisement
দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ৫০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে দাম কমেছে ৩১০টি প্রতিষ্ঠানের। আর ৩৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৪১ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৬৩৩ পয়েন্টে নেমে গেছে।
অপর দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৩ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৯৮০ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৭ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ২৩৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
সবকটি মূল্যসূচক কমলেও ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৫৯৭ কোটি ৫৬ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৫৭৪ কোটি ৯২ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন বেড়েছে ২২ কোটি ৬৪ লাখ টাকা।
এই লেনদেনে সব থেকে বেশি অবদান রেখেছে এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিসের শেয়ার। কোম্পানিটির ৩৯ কোটি ৮৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা লাভেলো আইসক্রিমের ৩৩ কোটি ৯৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ২৮ কোটি ৩৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে গোল্ডেন সন।
Advertisement
এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- ওরিয়ন ইনফিউশ, বেস্ট হোল্ডিং, মালেক স্পিনিং, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ, রবি, ফু-ওয়াং ফুড এবং সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ৩৪ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ২১৫টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৪৩টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৪৫টির এবং ২৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ১৫ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ১১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা।
এমএএস/এমআরএম/এএসএম