নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে নতুন গ্যাসকূপের খনন কাজ শুরু করেছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স)। এর নাম দেওয়া হয়েছে বেগমগঞ্জ-৪ (ওয়েস্ট) মূল্যায়ন কাম উন্নয়ন কূপ খনন প্রকল্প।
Advertisement
সোমবার (২২ এপ্রিল) সকালে অম্বরনগর গ্রামে ২০০ প্রকৌশলী ও শ্রমিক ওই কর্মযজ্ঞে অংশগ্রহণ করেন। টানা ১২০ দিন বিরতিহীনভাবে চলবে এ কূপের খননকাজ।
কূপটির খনন অধিকর্তা মো. আসাদুজ্জামান জাগো নিউজকে বলেন, নতুন এ কূপটি খননের জন্য ‘ড্রিলিং রিগ’ স্থাপন করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে তিন হাজার ২০০ মিটার খননের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর চারটি জোনের প্রতিটিতে দৈনিক ১০ মিলিয়ন ঘনফুট প্রাকৃতিক গ্যাস মিলতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
বাপেক্স সূত্র জানায়, এটির আগে নোয়াখালীর এ অঞ্চল তথা বেগমগঞ্জে ১৯৭৬ সালে প্রথম কূপের সন্ধান মেলে। ১৯৭৮ সালে দ্বিতীয় কূপের সন্ধান মিললে সেগুলো ড্রিলিং করা হয়। তবে পরবর্তীতে ওই দুটি কূপে কোনো গ্যাস পাওয়া যায়নি। ২০১৩ সালে তৃতীয় কূপের সন্ধান মিললে ড্রিলিং শেষে ওই কূপ থেকে গ্যাস প্রোডাকশনে যায় এবং ২০১৮ সালে একই কূপে ওয়ার্কওভার করে এখন প্রতিদিন ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রেডে সরবরাহ করা হচ্ছে।
Advertisement
এদিকে গত ১০ মার্চ নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের চরকাঁকড়া ইউনিয়নে সুন্দলপুর-৩ মূল্যায়ন কাম উন্নয়ন কূপে বিপুল গ্যাসের সন্ধান পাওয়া যায়। বর্তমানে সেখানে গ্যাস উত্তোলনে সর্বশেষ প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান কূপের প্রকল্প পরিচালক প্রিন্স মো. আল হেলাল।
এর আগে ২০১৩ সালের ৮ জানুয়ারি শাহাজাদপুর-সুন্দলপুর গ্যাসক্ষেত্রটির ১ নম্বর কূপ উৎপাদনে যাওয়ার পর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর একই গ্যাসক্ষেত্রের ২ নম্বর কূপেরও খনন করা হয় এবং গ্যাস উত্তোলন করা হয়।
‘দেশের অর্থনীতি ও শিল্পায়নকে আরও গতিশীল করতে আমাদের বাড়তি গ্যাস প্রয়োজন’ এ প্রতিপাদ্যে মানুষের চাহিদা পূরণে দেশীয় জ্বালানি অনুসন্ধান ও উৎপাদনকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে সরকার। ২০২৫ সালের মধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে ৪৬টি নতুন অনুসন্ধান, উন্নয়ন ও ওয়ার্কওভার কূপ খনন করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
ইকবাল হোসেন মজনু/এফএ/জেআইএম
Advertisement