চলতি আসরের আইপিএলে বইছে রানের বন্যা। এই মৌসুমে এক ইনিংসে ২০০ রান তোলা হয়ে গেছে স্বাভাবিক ব্যাপার। এর কম রানের পুঁজি গড়লেই বিপদ। অর্থাৎ ম্যাচ জেতা কঠিন। এই মৌসুমে দুইবার আইপিএলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড করেছে হায়দরাবাদ।
Advertisement
২০১৩ সালে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর করা ২৬৩ রানের রেকর্ড ভেঙে গত ২৭ মার্চ মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে আইপিএলের ইতিহাসের সর্বোচ্চ ২৭৭ রান তোলে হায়দারাবাদ। এরপর ১৫ এপ্রিল নিজেদের সেই রেকর্ডও ভেঙে দেয় ভারতের দক্ষিণ অঞ্চলের ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। এবার বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে ৩ উইকেটে ২৮৭ রান করে হায়দরাবাদ।
হায়দবাদের রেকর্ডগড়া দুই ইনিংসের মাঝে ২৭২ রানের একটি ইনিংস খেলে কলকাতা নাইট রাইডার্স (কেকেআর)। ৩ এপ্রিল দিল্লি ক্যাপিটালসকে রানবন্যায় ভাসায় কলকাতা। এছাড়া আরেকটি ম্যাচে কলকাতার ২২৩ রান টপকে আইপিএলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান তাড়ায় জয়ের রেকর্ড করে রাজস্থান রয়্যালস।
আইপিএলে এই রানবন্যা দেখে অনেকেই মনে করছেন আগামী ১ জুন থেকে শুরু হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও এবার রানের বন্যা বইবে। যা রীতিমত বাংলাদেশের জন্য আশঙ্কার। কারণ, বেশি রান তাড়ায় বাংলাদেশের জয়ের রেকর্ড খুবই কম। আবার টাইগার ক্রিকেটারদের প্রতিপক্ষের বোলারদের উপর তাণ্ডবলীলা চালিয়ে রান তুলতেও তেমন একটা দেখা যায় না।
Advertisement
সে হিসেবে বাংলাদেশকে কিছুটা হলেও আশার বাণী শুনিয়েছেন ডেভিড ওয়ার্নার। আইপিএলের মতো বিশ্বকাপের ম্যাচগুলো হাইস্কোরিং হবে না মনে করেন এই অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটার। তার ধারণা, বিশ্বকাপের পিচগুলো ভারতের পিচের মতো এতটা ফ্ল্যাট নয়। ফলে এত বেশি রান উঠবে না।
এবারের বিশ্বকাপ যৌথভাবে আয়োজন করবে যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আর ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে খেলার অভিজ্ঞতা আছে ওয়ার্নারের। সেই অভিজ্ঞতার আলোকে তিনি বলেন, ‘সেগুলো (পিচ) ধীরগতির হতে পারে এবং কিছুটা টার্নিং পিচ হবে। উইকেট কিছুটা নিচু এবং ধীরগতির হতে পারে।’
আর আইপিএলের পিচ সম্পর্কে ওয়ার্নার বলেন, ‘উইকেটগুলো খুব ভালো হয়েছে। খুবই ফ্ল্যাট, খুব কমপ্যাক্ট এবং খুব বেশি স্কোরিং। যখন আপনি ছোট বাউন্ডারি পাবেন, আপনি খুব বড় স্কোর দেখতে যাচ্ছেন।’
অস্ট্রেলিয়ান অভিজ্ঞ এই ব্যাটার আরও বলেন, ‘যদি উইকেট একটু টার্নিং হতো, তাহলে এত বেশি রান উঠতো না। এছাড়া বলের বার্ণিশটিও বেশিক্ষণ থাকে এবং তাই এটি চিবানো যায় না এবং খুব অল্প পরিমাণে টার্ন করে।’
Advertisement
এমএইচ/জিকেএস