ইতালিয়ান সিরি আ-তে আরেকটি বড় সফলতা পেল ইন্টার মিলান। নগর প্রতিদ্বন্দ্বী এসি মিলানকে ২-১ গোলে হারিয়ে টুনামেন্টের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২০তম বারের মতো শিরোপা জিতলো ইন্টার মিলান। এবারের শিরোপা লাউতারে মার্টিনেজরা জিতেছেন ৫ ম্যাচ বাকি থাকতেই।
Advertisement
জিতলেই নিশ্চিত হবে শিরোপা, এমন সমীকরণ সামনে রেখেই মাঠে নেমেছিল ইন্টার মিলান। যে কারণে, শিরোপা জয় উদযাপন করার জন্য প্রস্তুতিও নিয়ে এসেছিল।
সোমবার রাতে মাঠে নেমে শিরোপা ছোঁয়ার জন্য যেন তর সইছিল না ইন্টার মিলানের। ম্যাচের ১৮ মিনিটেই ফ্রান্সিসকো অ্যাসারবির গোলে এগিয়ে যায় তারা। তবে প্রথমার্ধে আর কোনো গোল না হওয়ায় ১-০ তে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় দুই দল।
দ্বিতীয়ার্ধে খেলতে নেমেই আবারও গোল করে ইন্টার মিলান। ৪৯ মিনিটে এসি মিলানের জাল কাঁপান মার্কাস থ্ররাম। এতে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় ইন্টার মিলান।
Advertisement
কিন্তু ৮০ মিনিটে ইন্টার মিলানের একটি গোল শোধ করে দেন এসি মিলানের ফিকায়ো তোমোরি। তবে শেষ পর্যন্ত ম্যাচের মূল সময়ে আর সমতায় ফিরতে পারেনি ইন্টার মিলান।
অতিরিক্ত সময়ে শুরু হয় লালকার্ডের নাটকীয়তা। ৯৩ মিনিটে এসি মিলানের তোমারির এক ফাউলকে কেন্দ্র করে বাক-বিতণ্ডায় জড়ানোর দায়ে দুই দলের দুই খেলোয়াড়কে লালকার্ড দেখান রেফারি।
লালকার্ড দেখেন ইন্টার মিলানের ডেনজেল ডামফ্রাইস, আর এসি মিলানের থিও হার্নান্দেজ। এতে ১০ দলে পরিণত হয় দুই দল।
এর ৪ মিনিট পর আবারও তর্ক-বিতর্ক। এবার লালকার্ড দেখেন শুধু এসি মিলানের খেলোয়াড় ডেভিড ক্যালাবরিয়া। তিনি মাঠ ছাড়লে ৯ জনের দলে পরিণত হয় এসি মিলান। ফলে বাকি এক গোল আর এসি মিলানের পক্ষে শোধ করা সম্ভব হয়নি। ২-১ গোলে জিতে শিরোপা নিশ্চিত করে ইন্টার মিলান।
Advertisement
শিরোপা জিতে ইন্টার মিলানের আর্জেন্টাইন তারকা মার্টিনেজ বলেন, ‘আমি দলের খেলোয়াড়দের বলেছিলাম যে, আমরা নিজেদেরকে এমন পরিস্থিতিতে খুঁজে পেয়েছি যা আগে কখনো ঘটেনি। আমাদের এই সুযোগের সদ্ব্যবহার করা দরকার ছিল। কারণ চারপাশে দেখুন, পুরো স্টেডিয়াম এখন আমাদের।’
এমএইচ/জিকেএস