বর্তমানে কাঁচা আমের আচার বাজারেই কিনতে পাওয়া যায়। বোতলে করে কাঁচা আমের আচার বিক্রি করা হয়। এতে অবশ্য শরীরের উপকার কিছু হয় না।
Advertisement
কারণ এ ধরনের আচারে অতিরিক্ত সুগার থাকে। এটি শরীরের জন্য ক্ষতিকর। আবার দীর্ঘদিন এই আচার সংরক্ষণ করতে প্রচুর প্রিজারভেটিভও মেশানো হয়। ফলে শরীরের ক্ষতি হতে পারে।
কাঁচা আমের আচার তৈরির উপকরণ১. কাঁচা আম ৫-৬টি ২. আস্ত সরিষা৩. মৌরি৪. মেথি৫. জিরা৬. রসুন বাটা৭. আদা বাটা৮. লাল মরিচের গুঁড়া৯. হলুদ গুঁড়া ১০. লবণ পরিমাণমতো১১. সরিষার তেল ও১২ চিনি।
আরও পড়ুন
Advertisement
প্রথমে একটি পাত্রে কাঁচা আমগুলো খোসা ছাড়িয়ে নিয়ে ছোট টুকরো করে কেটে নিতে হবে। এবার ভালো করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে এক চামচ লবণ মিশিয়ে আলাদা করে রাখতে হবে। অন্তত চার পাঁচ ঘণ্টা এভাবে রাখতে হবে।
লবণ মাখানো থাকলে আম থেকে বাড়তি পানি বেরিয়ে যাবে। ওই পানি ফেলে দিতে হবে। এবার ব্লেন্ডারে আচার তৈরির মসলা বানাতে হবে।
এজন্য আস্ত সরিষা, মৌরি, মেথি, জিরা ভালো করে মিক্স করে নিতে হবে। এবার একটি কাচের পাত্রে আমের টুকরো দিয়ে তার মধ্যে রসুন বাটা, আদা বাটা, লাল মরিচের গুঁড়া, হলুদ গুঁড়া, বেটে রাখা মসলা দিতে হবে।
পরে লবণ, সরিষার তেল,অল্প চিনি দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। এবার কাচের বয়ামের মুখ বন্ধ করে রেখে দিন রোদে। টানা সাতদিন এটি রোদে রাখতে হবে।
Advertisement
প্রতিদিন রোদে দেওয়ার আগে নেড়ে নিতে হবে ভেতরের আমগুলো। সাতদিন এভাবে রোদে থাকলেই তৈরি হয়ে যাবে কাঁচা আমের আচার।
আচার তৈরি হলে এটিকে সংরক্ষণও করতে হয় সঠিক নিয়মে। একটি ঠান্ডা ও অন্ধকার জায়গায় আচার সংরক্ষণ করতে হবে। ফ্রিজেও আচার রাখতে পারেন। অন্তত এক বছর এভাবে আচার সংরক্ষণ করা যায়।
জেএমএস/জিকেএস