জাতীয়

প্লাস্টিক দূষণ বন্ধের দাবিতে ঢাবিতে মূকাভিনয় ও অবস্থান কর্মসূচি

বিশ্ব ধরিত্রী দিবস উপলক্ষে পলিথিন ও প্লাস্টিক দূষণ বন্ধের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) মূকাভিনয় ও অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

Advertisement

সোমবার (২২ এপ্রিল) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বোপার্জিত স্বাধীনতা চত্বরে ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা), ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মাইম অ্যাকশনের যৌথ আয়োজনে মুকাভিনয় ও অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়।

এসময় প্লাস্টিক দূষণ বন্ধের দাবিতে অবস্থানরতরা ‘পলিথিন ও প্লাস্টিক করব বর্জন-সুন্দর এই পৃথিবী হবে সংরক্ষণ’, ‘কাটলে বনের গাছ-গরমে হবে সর্বনাশ’ ইত্যাদি লেখা সম্বলিত প্লেকার্ড নিয়ে উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা সব সরকারি ও বেসরকারি সংগঠন ও ব্যক্তি পর্যায়ে উদ্যোগ নিয়ে সচেতনতা তৈরির আহ্বান জানান। অন্যথায় নিজেদের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়বে বলেও দাবি করেন তারা।

বক্তব্যে ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) এর নেতা ইকবাল মুহাম্মদ বলেন, ধরিত্রী দিবসের লক্ষ্য শিল্পায়ন ও নগরায়নের ক্ষতি থেকে পৃথিবীকে রক্ষা করা। আমাদের দেশে নগরায়ণে ভয়াবহ প্রভাব মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। কিন্তু এটি কাটিয়ে উঠতে কার্যকরী কোনো পদক্ষেপ নেই। রিসাইকেল, রিডিউস ও রিফিউজ সিস্টেম ব্যবহার করে প্লাস্টিক দূষণের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। প্লাস্টিক বর্তমানে মায়ের দুধেও মিশে গেছে।

Advertisement

শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একুয়াকালচার বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মীর মুহাম্মদ আলী বলেন, আমরা ধরিত্রীর সঙ্গে এতই বিরূপ আচরন করেছি, যার কারণে এখন পৃথিবী আমাদের সঙ্গে বিরূপ আচরণ করছে। বর্তমানে বিভিন্ন জায়গায় ৪২-৪৫ ডিগ্রি তাপমাত্রা রয়েছে। আমাদের নিজেরা সচেতন না হলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে। বর্তমানে সাগরে ৮শ মেট্রিক টন প্লাস্টিক রয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মাইম অ্যাকশনের সভাপতি নিয়াজ মাখদুম সিনা বলেন, বর্তমানে তাপমাত্রা প্রায় ৪২ ডিগ্রি ধারণ করেছে। এর জন্য দায়ী কিন্তু আমরা, আমরাই বিরূপ আচরণ করে পৃথিবীকে বসবাসের অযোগ্য করে তুলেছি। এর সমাধানও আমাদেরকেই করতে হবে। অবিলম্বে প্লাস্টিক দূষণ বন্ধে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে।

এছাড়াও অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের বেসরকারি উপদেষ্টা ও ধরার সহ-আহ্বায়ক এম এস সিদ্দিকী, রিভার বাংলার সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ, নিরাপদ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ইবনুল সাঈদ রানা, সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক নিখিল চন্দ্র ভদ্র এবং বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশনের সভাপতি বদরুল আলম প্রমুখ।

হাসান আলী/এসআইটি/জিকেএস

Advertisement