আন্তর্জাতিক

ইসরায়েলি সেনা ব্যাটালিয়নের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিম তীরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) একটি ব্যাটালিয়নের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। আর এতে বেজায় চটেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। এবারই প্রথমবার ইসরায়েলের বিরুদ্ধে এ ধরনের কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দিলো বাইডেন প্রশাসন।

Advertisement

শনিবার (২০ এপ্রিল) অ্যাক্সিওস নিউজের বরাতে এসব তথ্য জানায় টাইমস অব ইসরায়েল ও হারেৎজ। সংবাদমাধ্যগুলো জানায় ‘নেৎজাহ ইহুদা’ নামক পদাতিক ব্যাটালিয়নটি অতীতে ডানপন্থি সন্ত্রাস ও ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি সহিংসতার সঙ্গে যুক্ত ছিল বলে বিতর্ক রয়েছে।

২০২২ সালে ৭৮ বছর বয়সী ফিলিস্তিনি-মার্কিন নাগরিক ওমর আসাদের মৃত্যুর ঘটনা উল্লেখযোগ্য। ব্যাটালিয়নের সেনাদের হাতে আটক থাকা অবস্থায় তিনি মারা যান। মৃত্যুর সময় তিনি হাতকড়া পরা ও চোখ বাঁধা অবস্থায় ছিলেন।

রোববার (২১ এপ্রিল) মার্কিন সিনেটে ইসরায়েলের জন্য একটি বড় সামরিক সহায়তা প্যাকেজ পাস হওয়ার পরপরই যুক্তরাষ্ট্রের এমন সিদ্ধান্তে ব্যাপক বিস্ময় ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ইসরায়েল।

Advertisement

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের এমন সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হয়ে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লিখেন, আইডিএফকে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া উচিত নয়। আমি বাইডেন প্রশাসনের সঙ্গে আমার কথোপকথনসহ ইসরায়েলি নাগরিকদের নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে কাজ করছি।

‘একটা সময় আমাদের সৈন্যরা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। আইডিএফের এমন একটি ইউনিটের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা ও তার উদ্দেশ্য পুরোপুরি অযৌক্তিক। আমরা এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে লড়াই করবো।’

অন্যদিকে, নিষেধাজ্ঞার খবরে ক্ষুব্ধ হয়েছেন নেতানিয়াহু সরকারের মন্ত্রীরাও। ইসরায়েলে যুদ্ধসংক্রান্ত মন্ত্রিসভার মন্ত্রী বেনি গ্যান্টজ বলেছেন, পদাতিক ইউনিট আইডিএফের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি সামরিক ও আন্তর্জাতিক আইনেই পরিচালিত। ইসরায়েলের শক্তিশালী ও স্বাধীন আদালত রয়েছে। আদালত আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ মোকাবিলা করতে সক্ষম।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মার্কিন সূত্রের বরাতে অ্যাক্সিওসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিষেধাজ্ঞার কারণে ওই ব্যাটালিয়নের কাছে মার্কিন অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ থাকবে। পাশাপাশি এই ইউনিটের সেনাদের মার্কিন বাহিনীর সঙ্গে প্রশিক্ষণ বা যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়নে যে কোনো কার্যক্রমে অংশ নেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

Advertisement

২০২২ সালের ডিসেম্বরে ব্যাটালিয়নটিকে পশ্চিম তীরের বাইরে সরিয়ে নিয়েছিল ইসরায়েল। এরপর থেকেই উত্তর ইসরায়েলে কাজ করেছে ইউনিটটি। হামাসের বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধে গাজা উপত্যকায়ও মোতায়েন করা হয়েছে এটিকে।

সূত্র: রয়টার্স

এসএএইচ