দেশজুড়ে

প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিলেন সাবেক অর্থমন্ত্রীর ভাই

আওয়ামী লীগের দলীয় নির্দেশ অমান্য করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন কুমিল্লা-১০ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের ছোট ভাই গোলাম সারওয়ার।

Advertisement

শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে লালমাই উপজেলার দুতিয়াপুর নিজের বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন করে কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে নিজেকে ঘোষণা দেন তিনি।

এর আগে একই উপজেলা থেকে গোলাম সারওয়ার টানা তিনবার চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া তিনি ওই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।

সংবাদ সম্মেলনে গোলাম সারওয়ার বলেন, সদর দক্ষিণ উপজেলাবাসী ও আমার সব নেতাকর্মীর চাপে দলের বিভাজন দূর করতে, দলের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে এবং মাননীয় সংসদ সদস্য আ হ ম মুস্তফা কামালের মানসম্মান রক্ষার্থে আমি নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আশা করছি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি অনুধাবন করতে সক্ষম হবেন এবং এই উপজেলায় একটি সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন উপহার দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।

Advertisement

তিনি আরও বলেন, স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা এক যৌথ সভার সিদ্ধান্তে আমাকে চেয়ারম্যান প্রার্থী পদে নাম ঘোষণা করেছে। অনলাইনে আমি চেয়ারম্যান পদে আবেদন করেছি। এরইমধ্যে আমি দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে নির্বাচনী কাজ শুরু করেছি। এই উপজেলায় আমি গত ১৫ বছর ধরে চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। তাই আমিও সুষ্ঠু ভোটের মাধ্যমে আমার জনপ্রিয়তা যাচাই করে দেখতে চাই।

অপরদিকে এরই উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে কুমিল্লা-৬ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার সমর্থিক আবদুল হাই বাবলুও নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।

এ সময় সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এমপির ভাতিজা লালমাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুল হাসান শাহীন, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মিনহাদুল হাসান রাফি, কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী আব্দুর রহিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন চৌধুরীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে গত ১৮ এপ্রিল আওয়ামী লীগের দলীয় ফোরামে সিদ্ধান্ত হয় আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের কোনো মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের সন্তান, পরিবারের সদস্য, নিকটাত্মীয় এবং নিজস্ব লোক অংশ নিতে পারবেন না। এমনকি তারা কারো পক্ষে কাজও করতে পারবেন না। তারপরও কেউ যদি নির্বাচনে অংশ নেন, তাহলে বহিষ্কারসহ সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এরই মধ্যে আওয়ামী লীগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদকরা নিজ নিজ বিভাগের মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের এ ব্যাপারে নির্দেশনা দিয়েছেন।

Advertisement

জাহিদ পাটোয়ারী/এফএ/জেআইএম