অতিরিক্ত গরমে শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা বেড়ে যায়। তার মধ্যে যারা অ্যাজমার রোগী, তারা বেশি ভোগেন শ্বাসকষ্টে। গরমে ফ্যান-এসির বাতাস আর তীব্র তাপমাত্রায় সর্দির সমস্যা বাড়ায় অ্যাজমাও বেড়ে যায়।
Advertisement
বেশিরভাগ অ্যাজমা রোগীদের শীতকালে সমস্যা হলেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে গরমকালেও তাদের শ্বাসকষ্টের সমস্যা হতে পারে।
এ বিষয়ে ভারতের মনিপাল হাসপাতালের ফুসফুস রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেবরাজ যশ অ্যাজমার সমস্যা বাড়ার ৪টি কারণ সম্পর্কে জানান, প্রথমত এই সময় বারবার বাইরে বের হলে ও ঘরে ঢুকলে পরিবেশের তাপমাত্রার তারতম্য ঘটে। যা শরীর ঠিকমতো মানিয়ে নিতে পারে না।
দ্বিতীয়ত, ভাইরাল সংক্রমণ অ্যাজমার সমস্যার অন্যতম কারণ হতে পারে। তৃতীয়ত, ডিহাইড্রেশনের সমস্যা গরমকালে বেড়ে যায়। যার ফলে পেশি সংকোচন বা মাসল ক্র্যাম্প বেড়ে যায়। এর ফলে শ্বাস নিতে সমস্যা হয়।
Advertisement
চতুর্থত, এসির বাতাস শুষ্ক করে দেয় ঘরের পরিবেশ। যার থেকে অ্যাজমার সমস্যা হতে পারে। অন্যদিকে নতুন এসি থেকে ছত্রাক সংক্রমণের ঝুঁকিও থাকে।
আরও পড়ুন
গরমে বাড়ে যেসব চর্মরোগ ঠান্ডা পানি পান করা কি সত্যিই হার্টের জন্য ক্ষতিকর?অ্যাজমার সমস্যা এড়াতে কী করণীয়?
অ্যাজমার সমাধান ইনহেলার। তবে এই সমস্যাকে চাইলে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। অ্যাজমা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে কয়েকটি সহজ উপায় মেনে চললেই হবে।
Advertisement
চিকিৎসক দেবরাজ যশের মতে,, বারবার বাইরে রোদে বেরোনো আর ঘরের মধ্যে ঢোকার ফলেই সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে। এর থেকে অ্যাজমা হওয়ার ঝুঁকিও বেড়ে যায়। তাই এই ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।
ডিহাইড্রেশনের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে একইভাবে। প্রতিদি নির্দিষ্ট পরামাণে পানি পান করা জরুরি। পানি শরীরের তরলের ভারসাম্য ঠিক রাখে। এতে মাসল ক্র্যাম্প অর্থাৎ পেশি সংকোচনের সমস্যা এড়ানো যায়।
এছাড়া ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের টিকা নিয়মিত নেওয়া ভালো। বিশেষ করে বয়স্কদের। যারা অ্যাজমার সমস্যায় ভোগেন, তাদের নিয়মিত ইনহেলার ব্যবহার করতে হবে।
সূত্র: এবিপি লাইভ
জেএমএস/এমএস