ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের পশ্চিমবঙ্গের মোট ৪২ আসনে ভোট গ্রহণ হবে সাত দফায়। প্রথম দফা ভোট শেষ হয়েছে ১৯ এপ্রিল। নির্বাচন হয়েছে জলপাইগুড়ি, কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার এই তিন কেন্দ্রে। বিক্ষিপ্ত কিছু অশান্তি, সহিংসতা ছাড়া লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট গ্রহণ মোটামুটি শান্তিপূর্ণ হয়েছে।
Advertisement
তবে অনেক জায়গাতেই কেন্দ্রীয় বাহিনী না থাকার অভিযোগ উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য জাতীয় কংগ্রেস, বামফ্রন্ট প্রশ্ন তুলেছে সাধারণ মানুষের করের অর্থ খরচ করে এত কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করেও নির্বাচন সহিংসতা মুক্ত করা গেলো না।
আরও পড়ুন>
ভারতে লোকসভা নির্বাচনে প্রথম ধাপে ভোট পড়েছে ৬০ শতাংশ পশ্চিমবঙ্গে লোকসভা নির্বাচনে অস্থিরতার খবরআগামী ২৬ এপ্রিল দ্বিতীয় দফায় দার্জিলিং, রায়গঞ্জ ও বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রে নির্বাচন। দ্বিতীয় দফা ভোটে জাতীয় নির্বাচন কমিশন কোনো রকম ঝুঁকি না নিয়ে আরও অতিরিক্ত ৩০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় সুরক্ষা বাহিনী পশ্চিমবঙ্গে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
Advertisement
অতিরিক্ত যে ৩০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় সুরক্ষা বাহিনী রাজ্যে আসবে তাদের সংরক্ষিত রাখা হবে, দরকার পড়লে তাদের নির্বাচন কেন্দ্রের বিভিন্ন জায়গায় ব্যবহার করা হবে।
জাতীয় নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার আগেই বলেছিলেন, নির্বাচন চলাকালীন যেখানেই সহিংসতার মতো ঘটনা ঘটবে। সেটা ভোটের আগে বা ভোটের পরে আমরা সেই পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে সর্বদা সতর্ক থাকবো।
দ্বিতীয় দফা নির্বাচনের পরিস্থিতি দেখে তৃতীয় দফায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে কেন্দ্রীয় সুরক্ষা বাহিনী বাড়ানোর বিষয়ে।
৭ মে তৃতীয় দফায় মালদহ উত্তর, মালদা দক্ষিণ, জঙ্গিপুর, মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রে ৪০৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় সুরক্ষা বাহিনী উপস্থিত থাকবে। পরে ধাপে ধাপে কেন্দ্রীয় সুরক্ষা বাহিনী বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
Advertisement
মোট সাত দফায় লোকসভার নির্বাচন হবে। দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল, তৃতীয় দফায় ৭ মে, চতুর্থ দফায় ১৩ মে, পঞ্চম দফায় ২০ মে, ষষ্ঠ দফায় ২৬ মে ও সপ্তম দফার ভোট ১ জুন। ভোট গণনা আগামী ৪ জুন।
ডিডি/এমএসএম