বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ভবনে আগুন লাগার একদিন পর প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে। তবে শিশু হৃদরোগ চিকিৎসাকেন্দ্রের রোগীদের অন্যত্র স্থানান্তর করা হয়েছে। বন্ধ আছে সেখানকার কার্যক্রম।
Advertisement
শনিবার (২০ এপ্রিল) সকালে হাসপাতালটি ঘুরে দেখা যায়, হাসপাতালের আউটডোর, জরুরি বিভাগ ও বিভিন্ন ওয়ার্ডে রোগী উপস্থিত ছিল স্বাভাবিক। অভিভাবকদের ভিড়ও লক্ষ্য করা গেছে।
তবে হাসপাতালটির পঞ্চম তলা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সেখানে এখনো পোড়া গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। অগ্নিকাণ্ডের পর পঞ্চম তলার আইসিইউতে থাকা রোগীদের হাসপাতালের অন্যান্য বিভাগের আইসিইউ, এনআইসিইউ ও পিআইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়েছে। সেখানেই তাদের চিকিৎসা চলছে। চতুর্থ তলার রোগীদেরও সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে আবার তাদের আগের জায়গায় নিয়ে আসা হয়।
চতুর্থ তলার শিশু হৃদরোগ ওয়ার্ডে চিকিৎসা নেওয়া আরাফের মা স্মরনীকা জাগো নিউজকে বলেন, আগুন লাগার পরপরই ধোয়ায় অন্ধকার হয়ে আসছিল চারপাশ। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাদের সরিয়ে নেয়।
Advertisement
তিনি আরও জানান, আরাফকে ঝুঁকি নিয়ে ভেনন্টিলেটর থেকে সরানো হয়। পরে আগুন নিভে যাওয়ায় সবাইকে আবার আগের জায়গায় নেওয়া হয়েছে। তার আরেক মেয়ে পালকিও এই হাসপাতালের কিডনি ওয়ার্ডে ভর্তি।
হাসপাতালের চতুর্থ তলার একাধিক রোগীর স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সেখানকার সবাইকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। বিকেল ৪টায় সবাইকে আবার হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
এসময় শিশু হৃদরোগ কেন্দ্রের চিকিৎসকদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে এ বিষয়ে তারা কোনো কথা বলতে রাজী হননি।
হাসপাতালের ষষ্ঠ তলায়ও কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। সেখানেও শিশুদের চিকিৎসা চলছে। কর্তব্যরত নার্স ও চিকিৎসকরা জানান, অগ্নিকাণ্ডে এখানে কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
Advertisement
আরও পড়ুন
শিশু হাসপাতালে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে, আতঙ্কে রোগী-স্বজনরা চিকিৎসকের কক্ষের এসি থেকে আগুনের সূত্রপাত, ধারণা পরিচালকেরযদিও হাসপাতাল পরিচালক অধ্যাপক ডা. জাহাঙ্গীর আলম এ বিষয়ে কথা বলতে নারাজ।
এদিকে, সকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন শিশু হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন। এসময় তিনি বলেন, আগুন লাগার ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত, তবে এটা ভালো যে কেউ আহত হয়নি, সবাইকে সরিয়ে নেওয়া সম্ভব হয়েছে। যতটা দ্রুত সম্ভব ইউনিটটি চালু করা হবে। যেসব হাসপাতালে পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা নেই, সেগুলো দ্রুত কাটিয়ে উঠতে কাজ করছে সরকার বলেও জানান তিনি।
তিনি আরও জানিয়েছেন, আগুন লাগার ঘটনা তদন্তে ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। শুক্রবার ১টা ৪৭ মিনিটে শিশু হাসপাতালে আগুন লাগার খবর পাওয়া যায়। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে ফায়ার সার্ভিস। খবর পেয়ে দ্রুত প্রথমে দুই ইউনিট ও পরে আরও তিন ইউনিট হাসপাতালে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে।
এএএম/এসএনআর/এমএস