সুনামগঞ্জে মাঠে মাঠে দোল খাচ্ছে বোরো ধান। সোনালী ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। তবে ফলন ভালো হলেও উৎপাদন ব্যয় উঠবে কি না তা নিয়ে শঙ্কায় আছেন তারা।
Advertisement
সরজমিনে সুনামগঞ্জের হাওরগুলো ঘুরে দেখা যায়, দিগন্ত বিস্তৃত বোরো ধান সবুজ থেকে সোনালী বর্ণ ধারণ করেছে। কৃষকরাও ফসল ঘরে তুলতে দিন-রাত এক করে কর্মযজ্ঞ চালাচ্ছেন। কেউ ধান কাটছেন, কেউ আঁটি বাঁধছেন। কেউ কেউ সেই ধান মাথায় নিয়ে ক্ষেত থেকে বাড়ি যাচ্ছেন। আবার কেউ করছেন মাড়াইয়ের কাজ। সকাল থেকে দিনভর এভাবেই ব্যস্ত সময় পার করছেন সুনামগঞ্জের হাওরাঞ্চলের কৃষাণ-কৃষাণীরা।
তবে সোনালী ধান ঘরে তোলার পরও কৃষকের মুখ যেন মলিন হয়ে আছে। কারণ ধানের ফলন ভালো হলেও সার, কীটনাশক, ধান কাটা শ্রমিকসহ অন্যান্য খাতে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় হয়েছে। খরচের তুলনায় ধানের দাম কম। ফলে ধানের দাম না বাড়লে লাভতো দূরে থাক এই দামে উৎপাদন খরচও উঠবে কি না তা নিয়ে এখন শঙ্কায় কৃষক।
হাওর পাড়ের কৃষকরা জানান, সবকিছুর যে দাম তাতে ধানের দাম ১৫শ টাকার নিচে হলে কৃষকের লস। যেভাবে খরচ হয়, তাতে কৃষকের বেঁচে থাকা সম্ভব না।
Advertisement
দেখার হাওরের কৃষক আব্দুল্লাহ জাগো নিউজকে জানান, এই বছর ধানের আবাদ করতে অন্যান্য বছর থেকে বেশি খরচ হয়েছে। এবার যদি ধানের দাম না বাড়ে তাহলে আমরা তেমন একটা লাভবান হতে পারবো না।
শনির হাওরের কৃষক জমির মিয়া জাগো নিউজকে বলেন, এই বছর হাওরে ধানের ফলন ভালো হয়েছে। কৃষকরা হাসিমুখে ধান ঘরে তুললেও ধানের দাম নিয়ে শঙ্কায় আছেন কৃষকরা।
এদিকে শুক্রবার দুপুরে কৃষকদের সঙ্গে হাওরের ধান কাটা শেষে কৃষিমন্ত্রী আব্দুস শহীদ বলেন, ধানের দাম নির্ধারণের জন্য আগামী রোববার আমাদের সভা হবে। খাদ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে কৃষক যাতে ন্যাযমূল্য পায় সেদিকে লক্ষ্য রাখবো আমরা। আমরা চাই কৃষকরা যাতে ধান চাষে উৎসাহিত হয়। সেভাবেই ধানের দাম নির্ধারণ করা হবে।
চলতি মৌসুমে সুনামগঞ্জে ২ লাখ ২৩ হাজার ২৪৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ করেছেন কৃষকরা। যেখান থেকে ১৩ লাখ ৭০ হাজার ২০২ মেট্রিক টন ধান উৎপাদন হবে। যার বাজার মূল্য ৪ হাজার ১০০ কোটি টাকা।
Advertisement
এফএ/এমএস