জাতীয়

দিন-রাতের তাপমাত্রা বাড়তে পারে

প্রচণ্ড গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। এরমধ্যে শনিবার (২০ এপ্রিল) দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এতে করে দেশব্যাপী গরমের ভোগান্তি আরও বাড়বে।

Advertisement

দেশের ১৩ জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পার হয়ে চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। এছাড়া বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে বইছে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ।

শুক্রবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। এটিই চলতি গ্রীষ্ম মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। খুলনা বিভাগের সবগুলো স্টেশনেই সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে, অর্থাৎ তীব্র তাপপ্রবাহ বইছে।

আরও পড়ুন: সপ্তাহজুড়ে তাপপ্রবাহ, ঈশ্বরদীতে সড়কে কমেছে মানুষের চলাচল

Advertisement

শুক্রবার ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

শনিবার সকাল থেকে ঢাকার আকাশ মেঘমুক্ত। উত্তাপ এতটাই যে রোদে শরীর ছোঁয়ানো যাচ্ছে না। এরমধ্যে সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে হজযাত্রীদের প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে।

দুই পর্বে তিন হাজার জনের প্রশিক্ষণ নেওয়ার কথা। প্রথম পর্বে এক হাজার ৫০০ জনের স্থলে এসেছেন মাত্র ৫০০ জনের মতো। আয়োজকরা জানিয়েছেন, প্রচণ্ড গরমের কারণে বেশিরভাগ প্রশিক্ষণার্থীই আসেননি।

এদিকে বাইরে কাজ করা শ্রমজীবী মানুষের প্রাণ ওষ্ঠাগত। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বাড়ায় বাড়ছে অস্বস্তি।

Advertisement

আরও পড়ুন: পানিশূন্যতা রোধে তরমুজের রসে মেশান এই বীজ

আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম জানান, শনিবার সকাল ৯টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টায় ময়মনসিংহ, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

এ সময়ে সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা বাড়তে পারে সামান্য। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বাড়তে পারে।

রাজশাহী, পাবনা ও টাঙ্গাইল জেলাসহ খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং চাঁদপুর ও মৌলভীবাজার জেলাসহ ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগের অবশিষ্টাংশ এবং বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তা অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ শাহীনুল ইসলাম।

আরএমএম/জেডএইচ/এমএস