আন্তর্জাতিক

নাগাল্যান্ডের ৬ জেলায় ভোট পড়েছে প্রায় শূন্য শতাংশ

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের প্রথম ধাপে নাগাল্যান্ডের ছয়টি জেলায় শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেল পর্যন্ত প্রায় শূন্য শতাংশ ভোট পড়েছে। সেখানকার ইস্টার্ন (পূর্ব) নাগাল্যান্ড পিপলস অর্গানাইজেশনের (ইএনপিও) পক্ষ থেকে ‘জরুরি অবস্থা’ ঘোষণা ও স্থানীয়দের নির্বাচন বয়কটের আহ্বানের পর এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। আরও বেশি আর্থিক স্বায়ত্তশাসনের পাশাপাশি একটি আলাদা প্রশাসনের দাবি জানিয়ে আসছে সংগঠনটি।

Advertisement

এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তর-পূর্ব ভারতের এই রাজ্যের প্রধান নির্বাচন কর্মকর্তা নির্বাচনী প্রক্রিয়া ব্যাহত করার জন্য ইএনপিও’র বিরুদ্ধে কারণ দেখানোর নোটিশ জারি করেছেন। এক বিবৃতিতে ওই নির্বাচন কর্মকর্তা বলেছেন, সংগঠনটি সাধারণ নির্বাচনে ভোট দেওয়ার ক্ষেত্রে পূর্ব নাগাল্যান্ডের বাসিন্দাদের অংশগ্রহণে হস্তক্ষেপ করেছে ও অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করেছে।

প্রতিক্রিয়ায় ইএনপিও জানিয়েছে, রাজ্যের জনগণের প্রতি ভোট বয়কটের আহ্বানের মূল্য লক্ষ্য হলো, পূর্ব নাগাল্যান্ড অঞ্চলে বিশৃঙ্খলার আশঙ্কা ও নিরাপত্তা ঝুঁকি কমানো। পূর্ব নাগাল্যান্ড অঞ্চলটি বর্তমানে জাতীয় জরুরি অবস্থার অধীনে বলে দাবি করেছে সংগঠনটি। আর সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করেই এই ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

এনপিওর দাবি, নির্বাচন বয়কট জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত সিদ্ধান্ত। সুতরাং এক্ষেত্রে ১৭১ সি ধারার পদক্ষেপগুলো প্রযোজ্য হবে না। তাছাড়া যদি কোনো ভুল বোঝাবুঝি হয়ে থাকে, তাহলে তারা এ বিষয়ে তদন্তে নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা করবে।

Advertisement

গত ৩০ মার্চ ইএনপিওর ২০ জন বিধায়ক অন্যান্য সংগঠনের সঙ্গে একটি দীর্ঘ রুদ্ধদ্বার বৈঠক করে। বৈঠকে লোকসভা নির্বাচন থেকে সম্পূর্ণভাবে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত হয়। তবে ইস্টার্ন (পূর্ব) নাগাল্যান্ড লেজিসলেটরস ইউনিয়ন এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়েছিল। বৈঠকের পর দিন ইএনপিও ভারতের নির্বাচন কমিশনকে তাদের ভোটে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্তের বিষয়টি জানায়।

চলতি বছরের ৮ মার্চ পূর্ব নাগাল্যান্ডে ‘জাতীয় জরুরি অবস্থা’ ঘোষণা করা হয়। ইএনপিও এই অঞ্চলের সাতটি নাগা উপজাতির শীর্ষ সংগঠন। তারা স্থানীয় সংগঠনগুলোকে নির্বাচনী প্রচারে নামার অনুমতি দেয়নি। ইএনপিও গত বছরের বিধানসভা নির্বাচনের আগেও বয়কটের ডাক দিয়েছিল। কিন্তু কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের আশ্বাসের পর, তা প্রত্যাহার করে নেয় সংগঠনটি।

সূত্র: এনডিটিভি

এসএএইচ

Advertisement