দেশজুড়ে

যশোরে ৪১ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে তাপমাত্রা

যশোরে তাপপ্রবাহের মাত্রা আরও বেড়েছে। এতে নাভিশ্বাস উঠেছে মানুষের। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) জেলার তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়েছে।

Advertisement

আবহাওয়া অফিস বলছে, এ অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ। প্রতিদিনই ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে তাপমাত্রার পারদ। সহসাই তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি মেলার আভাস নেই।

যশোরে বৈশাখের খরতাপে বাড়ছে তাপপ্রবাহ। গত তিনদিন ধরে এ জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে ঘোরাফেরা করছে। শুক্রবার যশোরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গায়, ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) যশোরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এদিন চুয়াডাঙ্গাতেও একই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। তার আগে বুধবার যশোরে এ মৌসুমের সর্বোচ্চ ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। তীব্র গরমে হাঁসফাঁস করছে জনজীবন-প্রাণীকূল। খরতাপে সারাদিনই অস্বস্তিকর সময় পার করছে সাধারণ মানুষ। বাইরে কড়া রোদ থেকে বাঁচতে অনেকে গাছের ছায়ায় আশ্রয় নিচ্ছেন। কেউবা আবার আখের রস, লেবুর শরবত খেয়ে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছেন। শহরের কোর্ট মোড়ে আখের রস বিক্রেতার শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘গরমে মানুষজন আসছে, রস খাচ্ছে। তবে প্রচণ্ড গরমে রাস্তায় দাঁড়ানোই দায়। রস বিক্রি করতে গিয়েও গরমে ঘাম ছুটে যাচ্ছে।’ আখের রস পান করতে আসা যুবক রিপন দাস বলেন, ‘গরমে যেভাবে ঘাম ঝরছে, তাতে সুস্থ থাকাই দায়। এজন্য আখের রস, লেবুর শরবত পানে পানির ঘাটতি পূরণের চেষ্টা করছি।’ যশোর শহরের রিকশাচালক আজিজ মিয়া জানান, গরমে মানুষ বাইরে কম বের হচ্ছে। ফলে ভাড়া হচ্ছে কম। গরমে রিকশা চালাতে জান বেরিয়ে যাচ্ছে।

শহরের শংকরপুর এলাকার বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম জানান, বাসার ছাদের পানির রিজার্ভ ট্যাংকের পানি অনেক গরম হয়ে যাচ্ছে। দুপুর ১২টা থেকে বিকেল পর্যন্ত পানিতে হাত দেওয়া যাচ্ছে না। পানির লেয়ার নিচে নেমে যাওয়ায় চাপকলেও পানি উঠছে না। ফলে প্রতিবেশীর সাবমার্সেবল থেকে খাবার পানি সংগ্রহ করতে হচ্ছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের মতে, মৃদু তাপপ্রবাহে তাপমাত্রা থাকে ৩৬ থেকে ৩৭.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মাঝারি তাপপ্রবাহে তাপমাত্রা থাকে ৩৮ থেকে ৩৯.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর ৪০ ডিগ্রি থেকে ৪১.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তীব্র তাপপ্রবাহ। এ অনুযায়ী যশোরে গত তিনদিন ধরে তীব্র তাপপ্রবাহ চলছে। আগামী দু-একদিনের মধ্যে এ তাপপ্রবাহের তেমন কোনো পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই বলে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।

Advertisement

মিলন রহমান/এসআর/এএসএম