জাতীয়

‘স্বজনরা রোগীদের উদ্ধার না করলে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারতো’

দুপুর দেড়টার দিকে বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের আইসিইউ ইউনিটের বাইরে বসে ছিলেন পোশাকশ্রমিক রিনা আক্তার। রিনার নাতনির চিকিৎসা চলছিল আইসিইউতে। হঠাৎ আগুন লাগলে দৌড়ে আইসিইউতে ঢোকেন রিনা। এরপর নাতনিকে নিয়ে বের হয়ে আসেন।

Advertisement

জাগো নিউজকে রিনা আক্তার বলেন, আইসিইউতে গিয়ে দেখি লাইট বন্ধ। অন্ধকারে আমার নাতনি রিপামনিকে খুঁজছিলাম। ওর হাতে ক্যানুলা লাগানো ছিল। আমি জোরে টান দিয়ে ক্যানুলা খুলে ওকে নিয়ে দৌড়ে বের হয়ে আসি। পরে চিৎকার দিয়ে আগুনের খবর জানালে সবাই গিয়ে তাদের বাচ্চাদের উদ্ধার করে আনে।

ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে তিনি আরও বলেন, আমার নাতনি তিনদিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি। এর আগেও এ হাসপাতালে আগুন লাগে। আজ আগুন লাগার পরও কোনো বাঁশির হুইসেল দেয়নি কর্তৃপক্ষ। অভিভাবকরা নিজেরা রোগীদের উদ্ধার না করলে আজ বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারতো।

আরও পড়ুন

Advertisement

শিশু হাসপাতালে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে, আতঙ্কে রোগী-স্বজনরা ‘আগুনের খবর শুনে দৌড়ে পালাই, এখন খোলা জায়গায় আছি’

অগ্নিকাণ্ডের পর শিশুদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে সেখানে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান এক রোগীর স্বজন রিনা আক্তার।

এর আগে দুপুর ১টা ৪৭ মিনিটে শিশু হাসপাতালে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। খবর পেয়ে দ্রুত প্রথমে দুই ইউনিট ও পরে আরও তিন ইউনিট হাসপাতালে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। এরপর দুপুর ২টা ২৮ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণ ও ২টা ৩৯ মিনিটে আগুন সম্পূর্ণ নির্বাপণ হয়। তবে প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও হতাহতের খবর জানা যায়নি।

আরএএস/কেএসআর/এএসএম

Advertisement