চলতি মৌসুমে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার ৫ ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় ৬৫ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ করা হয়েছে। এসব এলাকায় চাষের জমিতে ধান চাষের পর তরমুজ চাষ করা হয়েছে। বাজারে দেশের অন্য অঞ্চলের তরমুজের সরবরাহ কমায় এসব তরমুজের ব্যাপক চাহিদা আছে। ফলে কৃষকেরা তরমুজ ভালো দামে বিক্রি করছেন।
Advertisement
উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, চলতি মৌসুমে শ্যামনগর উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে ৬৫ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ হয়েছে। প্রতি বিঘায় ৬০-৮০ মণ তরমুজ উৎপাদন হয়েছে। আগামীতে এ উপজেলায় তরমুজ চাষ আরও বাড়বে।
আটুলিয়া গ্রামের তরমুজ চাষি কেনারাম মন্ডল জাগো নিউজকে বলেন, ‘এ বছর এলাকায় ড্রাগন ও জাম্বু গোয়ালিয়া জাতের তরমুজ চাষ করা হয়েছে। এতে আশানুরূপ ফলন পেয়েছি। বিঘাপ্রতি ৬০-৭০ মণ তরমুজ হয়েছে। বিঘাপ্রতি খরচ হয়েছে ২০-২৫ হাজার টাকা। প্রতি বিঘা থেকে ৪০-৫০ হাজার টাকার তরমুজ বিক্রি হচ্ছে।’
আরও পড়ুন
Advertisement
একই এলাকার চাষি সুরজ মন্ডল জাগো নিউজকে বলেন, ‘এবার ফলন ভালো হয়েছে। তবে পানির অভাবে পর্যাপ্ত সেচ দিতে পারিনি। সময়মতো সেচ দিতে পারলে ফলন আরও ভালো হতো। কৃষি অধিদপ্তরের মাধ্যমে খাল খনন অথবা ডিপ টিউবওয়েল স্থাপন করা হলে পানির সমস্যা থাকবে না।’
আটুলিয়া ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শামসুর রহমান বলেন, ‘কৃষকদের সহযোগিতার জন্য আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তরমুজ চাষিদের জন্য বরাদ্দ পেলে আগামীতে সেচ, বীজ, সার ও কীটনাশকের ব্যবস্থা করা হবে।’
শ্যামনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. নাজমুল হুদা জাগো নিউজকে বলেন, ‘আকারে কিছুটা ছোট হলেও এখানকার তরমুজ অত্যন্ত সুস্বাদু। এটি বরিশালের তরমুজ শেষ হওয়ার পর বাজারে আসে। এজন্য কৃষকেরা ভালো দামে বিক্রি করতে পারেন। প্রতিকূল আবহাওয়ায় ভালো উৎপাদন হওয়ায় কৃষকেরা দিন দিন এটি চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।’
আহসানুর রহমান রাজীব/এসইউ/এমএস
Advertisement