ঈদের আগে বেড়ে যাওয়া ব্রয়লার মুরগির দাম এখনো কমেনি। এরমধ্যে নতুন করে বাড়ছে আলু, পেঁয়াজের দাম। সঙ্গে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম চার টাকা বাড়ানোর ঘোষণা এসেছে গেলো বৃহস্পতিবার।
Advertisement
যদিও ঢাকার বাজারগুলোতে এখনো কেনাবেচা ঠিক আগের মতো জমে ওঠেনি। ঈদের ছুটি শেষ হলেও রাজধানীতে এখনো ফেরেনি অনেক মানুষ। রাজধানীর বিভিন্ন বাজার এখনো কিছুটা ফাঁকা।
খুচরা ব্যবসায়ীদের দাবি, পণ্যের সরবারহ ঠিক থাকলেও পাইকারি বাজারে দাম বাড়ার কারণে খুচরায় এর প্রভাব পড়েছে। বেচা-বিক্রি কিছুটা কম হলেও বাড়তি পণ্যের চাপ নেই।
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ঈদের আগে বেড়ে যাওয়া মুরগির দাম এখনো বেশি। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ২৩০ থেকে ২৪০ এবং সোনালি জাতের মুরগি ৩৩০ থেকে ৩৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সাধারণত অন্য সময়ে এ ব্রয়লার মুরগির দাম ২০০ টাকা ও সোনালি মুরগির দাম ৩০০ থেকে ৩২০ টাকার মধ্যে থাকে।
Advertisement
এদিকে, বাজারে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫৫ টাকা দরে। কোথাও কোথাও কেজি ৬০ টাকায়ও বিক্রি হচ্ছে। ঈদের চার-পাঁচ দিন আগে আলুর কেজি ছিল ৪৫ টাকার আশপাশে। সেই হিসেবে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে আলুর কেজিতে বেড়েছে ১০ টাকার বেশি।
আরও পড়ুন
লিটারে খোলা সয়াবিন তেলের দাম কমলো ২ টাকা আমাদের মূল্যস্ফীতি নেমে আসছে: অর্থমন্ত্রী মুরগি-ইলিশ চড়া, আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে সবজিঅন্যদিকে, ঈদের আগে দেশি পেঁয়াজের কেজি নেমেছিল ৫০ টাকার ঘরে। কেজি কেনা গেছে ৫০ থেকে ৫২ টাকার মধ্যে। কিন্তু ঈদের পর চড়া হতে থাকে দাম। কয়েক দফায় বেড়ে এখন কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়।
রামপুরা বাজারে আলু ও পেঁয়াজের দাম প্রসঙ্গে বিক্রেতা মাজেদ হোসেন বলেন, আলু পেঁয়াজ আমদানি ছাড়া কোনো উপায় নেই। এবার শুরু থেকে দাম চড়া। বাজার এই বাড়ে, এই কমে। কিন্তু নাগালের মধ্যে আসেনি।
Advertisement
পেঁয়াজের মতো দর বেড়েছে আদা-রসুনেরও। বাজারে এখন আমদানি করা প্রতি কেজি চায়না রসুন ২২০ থেকে ২৩০ এবং দেশি রসুন ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ঈদের আগে চায়না রসুন ১৯০ থেকে ২১০ টাকা এবং দেশি রসুন ১২০ থেকে ১৩০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। অন্যদিকে, চায়না আদার কেজিতে ২০ টাকার মতো বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৩০ টাকা দরে।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু সয়াবিন তেলের নতুন দাম ঘোষণা করেন। তাতে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম চার টাকা বাড়ানো হয়েছে। তবে খোলা সয়াবিনের লিটারে কমানো হয়েছে দুই টাকা। এছাড়া পাঁচ লিটারের বোতলে দর বেড়েছে ১৮ টাকা।
ফলে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের নতুন দাম হবে ১৬৭, পাঁচ লিটারের দর হবে ৮১৮ এবং খোলা সয়াবিনের লিটার হবে ১৪৭ টাকা। অন্যদিকে, সুপার পামওয়েলের লিটার নির্ধারণ করা হয়েছে ১৩৫ টাকা। তবে সুপার পামওয়েল বাজারে এর চেয়ে বেশি অর্থাৎ লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা দরে।
ঘোষণা হলেও বাজারে নতুন দামের তেল এখনো আসেনি। অর্থাৎ আগের দামে চার টাকা কমে তেল কেনা যাচ্ছে। বিক্রেতারা জানিয়েছেন, দু-একদিনের মধ্যেই নতুন দামের তেল সরবরাহ করবে কোম্পানিগুলো।
এনএইচ/এসএনআর/জিকেএস