নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে গাছ থেকে নারিকেল পাড়া নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে কয়েক দফা সংঘর্ষ হয়েছে। এতে নারীসহ উভয়পক্ষের আটজন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে সেলিম মিয়া নামের একজনকে গুরুতর অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় করা মামলায় সেলিম মিয়ার ভাই মজনু মিয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে মোহনগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. দেলোয়ার হোসেন এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এরআগে পৗরশহরের টেংগাপাড়া এলাকায় বুধবার (১৭ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টা ও বৃহস্পতিবার সকালে দুই দফা সংঘর্ষ হয়।
পুলিশ, স্থানীয় ও আহতদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বুধবার বিকেলে নিজেদের পারিবারিক গাছ থেকে নারিকেল পাড়েন সেলিম মিয়া। সেই নারিকেল অপর তিন ভাই মজনু মিয়া, ফজলুর রহমান ও আজিজুল হকের বাসায় ভাগ করে দেন। তবে ভাগ কমবেশি হওয়ায় কারণে ভাতিজারা সেলিমের সঙ্গে তর্কাতর্কি শুরু করেন। একপর্যায়ে সেলিমকে তারা মারধর করে আহত করেন। পরে রাতে এ ঘটনায় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে সেলিমসহ উভয়পক্ষের অন্তত আটজন আহত হয়।
Advertisement
সকালে সেলিম মিয়া দোকানে গেলে তার হাতে ও পিঠে ক্ষুরের আঘাতে গুরুতর জখম করেন প্রতিপক্ষের লোকজন। পরে তাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
সেলিম মিয়ার বড় ভাই ফজলুর রহমান বলেন, ‘প্রথমে নারিকেল নিয়ে ভাতিজারা সেলিমকে কিছুটা হেনস্থা করে। আমরা রাতে বিষয়টা সমাধান করবো ভেবেছি। কিন্তু রাতে বড়কাশিয়া থেকে সেলিমের আত্মীয়রা এসে বাড়িতে ঢুকে নারী-পুরুষ সবাইকে এলোপাতাড়ি ক্ষুর ও রামদা দিয়ে কোপানো শুরু করে। এতে আমাদের পক্ষের চারজন গুরুতর আহত হয়।’
এদিকে রাতের ঘটনায় সেলিম মিয়া বাদী হয়ে মজনু মিয়াসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন। পরে সকালে মজনু মিয়াকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
মোহনগঞ্জ থানার ওসি দেলোয়ার হোসেন বলেন, এ ঘটনায় করা মামলায় মজনু মিয়া নামের একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
Advertisement
এইচ এম কামাল/এসআর/জেআইএম