আন্তর্জাতিক

রাত পোহালেই ভোট, পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনের প্রস্তুতি তুঙ্গে

রাত পোহালেই পশ্চিমবঙ্গে বাজবে নির্বাচনের ডঙ্কা। ভারতের লোকসভা নির্বাচনে প্রথম দফার ভোটগ্রহণ হবে শুক্রবার (১৯ এপ্রিল)। এদিন পশ্চিমবঙ্গে ভোট হবে জলপাইগুড়ি, কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ার কেন্দ্রগুলোতে।

Advertisement

কয়েকদিন ধরে পশ্চিমবঙ্গে চলছে তীব্র দাবদাহ। তার মধ্যেই ভোট দিতে যাবেন ভোটাররা। এজন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

আরও পড়ুন>>

নির্বাচনের আগে তৃণমূলের ইশতেহার, ‘দিদির ১০ শপথ’ পূরণের অঙ্গীকার ‘মোদীর গ্যারান্টি জিরো, আমাদের গ্যারান্টি হিরো’ ভোটের আগে পশ্চিমবঙ্গে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার ‘অপব্যবহার’ হচ্ছে?

উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই শুরু হয় ভোটের প্রস্তুতি। ভোটকর্মীরা তাদের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সংগ্রহ করেন ডিসিআরসি থেকে। সেগুলো সুন্দরভাবে গুছিয়ে নিয়ে বিভিন্ন কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

এবারের নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে যেন কোনো ধরনের অশান্তি না হয়, তা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর জাতীয় নির্বাচন কমিশন। সেজন্য জলপাইগুড়িতে ৭৫ কোম্পানি, কোচবিহারে ১১২ কোম্পানি এবং আলিপুরদুয়ারে ৬৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

প্রথম দফার নির্বাচন নির্বিঘ্ন করতে কড়া নজরদারি চালাচ্ছে নির্বাচন কমিশন। স্পর্শকাতর এবং অতিস্পর্শকাতর বুথগুলো চিহ্নিত করে সেই অনুযায়ী প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তিন কেন্দ্র মিলিয়ে স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা ৭৪৬টি।

জলপাইগুড়ির জেলা প্রশাসক শ্যাম পারভিন বলেন, প্রথম দফা ভোটের জন্য আমাদের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। সব বুথ সিএপিএফ’র আত্ততাভুক্ত থাকবে। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকা অনুসারে, এবার সব বুথে ওয়েবকাস্টিংও করা হচ্ছে। যদি কোনো বুথে ওয়েবকাস্টিং না থাকে, তাহলে সাধারণ সিসিটিভি থাকবে। মাইক্রো-অবজারভারদের নেটওয়ার্ক শ্যাডো বুথে নিয়োজিত করা হয়েছে। জেলায় ১৯২ জন মাইক্রো অবজারভার মোতায়েন করা হয়েছে। আপাতত ৭৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় সুরক্ষা বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। প্রয়োজন পড়লে আরও ১৩ কোম্পানি মোতায়েন করা হবে।

রাজনৈতিক মহলের মতে, পশ্চিমবঙ্গের প্রথম দফার নির্বাচনের লড়াইয়ে ‘মোদীর গ্যারান্টি’ বনাম ‘দিদির শপথ’ ফ্যাক্টর হতে পারে। গত লোকসভা নির্বাচনে এই তিন কেন্দ্রেই বিজেপি জয়লাভ করেছিল। তবে গত বিধানসভা এবং পঞ্চায়েত নির্বাচনের নিরিখে কেন্দ্রগুলোতে বিজেপির থেকে ভালো ফল করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর উত্তরবঙ্গের এই তিন কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেসের সংগঠন আরও মজবুত হয়েছে।

Advertisement

ডিডি/কেএএ/