বৈশাখ মাস শুরু হতে না হতেই পশ্চিমবঙ্গজুড়ে শুরু হয়েছে গরমের দহনজ্বলা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রোদের বাড়ছে চোখ রাঙানি। আর তাতেই নাজেহাল আমজনতা। এই তীব্র দাবদাহের জেরে সাধারণ মানুষদের মতো শিক্ষার্থীদের অবস্থাও শোচনীয়।
Advertisement
এমন পরিস্থিতিতে বাচ্চাদের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে সরকারি স্কুলগুলোতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটি ঘোষণা করেছে রাজ্যের শিক্ষা দপ্তর। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দপ্তরের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন>>
কলকাতায় ধুমধামে উদযাপিত হলো পহেলা বৈশাখ পশ্চিমবঙ্গে কালবৈশাখীর তাণ্ডব, চারজনের মৃত্যু কলকাতার বৃহত্তম ঈদ জামাতে ফিলিস্তিনিদের জন্য দোয়া করলেন মুসল্লিরাবলা হয়েছে, রাজ্যর কালিম্পং, কার্শিয়াং এবং দার্জিলিং ছাড়া অন্য সব জেলার সরকারি স্কুলগুলোতে ছুটি থাকবে। তীব্র দাবদাহের কারণে আগামী ২২ এপ্রিল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বলবৎ থাকবে এই ছুটি।
Advertisement
সরকারি স্কুলগুলোর মতো বেসরকারি স্কুলগুলোকেও গরমের ছুটি এগিয়ে আনার কথা বিবেচনা করতে বলা হয়েছে শিক্ষা দপ্তরের বিবৃতিতে।
অতিরিক্ত ছুটির জন্য শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার যে ক্ষতি হবে, তা অতিরিক্ত ক্লাস করানোর মাধ্যমে পুষিয়ে নিতে পরামর্শ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
ছুটি শেষে স্কুল কবে খুলবে, সে বিষয়ে আবহাওয়ার পরিস্থিতি বুঝে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য সরকার।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও অশিক্ষক কর্মীরাও ছুটিতে থাকবেন। স্কুল না খোলা পর্যন্ত বিশেষ ছুটিতে থাকবেন তারা।
Advertisement
আরও পড়ুন>>
পশ্চিমবঙ্গে রুপির বিপরীতে টাকার মান কমেছে ঈদের আগে সোনার দামে রেকর্ড, ক্রেতাদের মাথায় হাত ভোটের আগে পশ্চিমবঙ্গে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার ‘অপব্যবহার’ হচ্ছে?কলকাতার আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে অন্তত চার ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। এদিন কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি।
আবহাওয়া দপ্তর আরও জানিয়েছে, দক্ষিণবঙ্গজুড়ে জারি থাকবে গরম আবহাওয়ার সর্তকতা। কলকাতার পাশাপাশি হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পুরুলিয়া, মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, বর্ধমান, বাঁকুড়া ও নদীয়া জেলায়ও তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হবে।
খুব শিগগির এই দহনজ্বালা থেকে মুক্তি পাওয়ার কোনো লক্ষণ দেখছে না আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর।
ডিডি/কেএএ