অনেক আগেই বলিউড তারকা শিল্পা শেঠির স্বামী রাজ কুন্দ্রার নামে আইপিএল বেটিং, নীলছবি মামলায় নাম উঠেছিল। এবার বিটকয়েন জালিয়াতি মামলাতেও নাম জড়িয়েছে তার।
Advertisement
এ কারণে রাজ-শিল্পার স্থাবর-অস্থাবর সব মিলিয়ে প্রায় ১০০ কোটি রুপির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে ভারতের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট (ইডি)। এর মধ্যে জুহুর সমুদ্রমুখী বিলাসবহুল বাংলোও রয়েছে। যে বাংলো কিনা অভিনেত্রী শিল্পা শেঠির নামে কেনা হয়েছে।
৬ হাজার ৬০০ কোটি রুপির বিটকয়েন পঞ্জি স্ক্যামের আর্থিক তছরুপ মামলায় বৃহস্পতিবারই শিল্পা শেঠি ও রাজ কুন্দ্রার কোটি কোটি রুপি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। সেই তালিকায় জুহুর পাশাপাশি এ তারকা দম্পতির পুণের প্রাসাদসম বাংলোও রয়েছে। রাজ কুন্দ্রার নামে কিছু ইক্যুয়িটি শেয়ারও বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি।
আরও পড়ুন:
Advertisement
মহারাষ্ট্র এবং দিল্লি পুলিশের কাছে ভ্যারিয়েবল টেক প্রাইভেট লিমিটেড নামের একটি সংস্থার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ জমা পড়ে। অমিত ভরদ্বাজ, বিবেক ভরদ্বাজ, সিম্পি ভরদ্বাজ, মহেন্দ্র ভরদ্বাজসহ আরও বেশ কয়েকজনের নাম উঠে আসে অভিযুক্ত হিসেবে।
বিটকয়েনে বিনিয়োগের নামে কোটি কোটি রুপি তোলেন অভিযুক্তরা। শুধুমাত্র ২০১৭ সালেই ৬,৬০০ কোটি রুপি তোলা হয়েছিল বলে জানা যায়। যাদের কাছ থেকে টাকা তোলা হয়, তাদের প্রতি মাসে বিটকয়েনে ১০ শতাংশ রুপি ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়। ক্রিপ্টো সম্পত্তি গড়ে তোলার লোভে অনেকেই অর্থ ঢালেন ওই প্রতিষ্ঠানে। কিন্তু ওই প্রতিষ্ঠান প্রত্যেককে ঠকানোয় একাধিক মামলা দায়ের হয়।
এই মামলার তদন্তে নেমে রাজের সঙ্গে ওই প্রতিষ্ঠানে সংযোগ খুঁজে পায় ইডি। জানা গেছে, অমিতের থেকে ২৮৫টি বিটকয়েন পেয়েছিলেন রাজ। ইডি সূত্রে জানা যায়, পুরো দুর্নীতি চক্রের মূল ছিলেন অমিত।
নিরীহ মানুষকে টোপ দিয়ে কোটি কোটি রুপি আদায় করেছিলেন তিনি। সেই বিটকয়েনই পরে রাজের কাছে যায়, বর্তমানে যার বাজারদর প্রায় ১৫০ কোটি রুপি। সেই প্রেক্ষিতেই রাজের ৯৮ কোটি রুপির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি।
Advertisement
এমএমএফ/জেআইএম