জাতীয়

আইন না মানায় প্রতারিত হচ্ছে মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্টরা

আইন না মানায় প্রতারিত হচ্ছে মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্টরা। এছাড়া এজেন্টরা টাকা লেনদেন করতে পারেন না। এই সুযোগই প্রতারকরা হাতিয়ে নিচ্ছেন লাখ লাখ টাকা। সোমবার দুপুরে রাজধানীর মালিবাগস্থ সিআইডির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান অতিরিক্ত ডিআইজি শাহ আলম। তিনি বলেন, বিকাশের মতো মোবাইল ব্যাংকিং এ অহরহ অপরাধ হচ্ছে। অধিকাংশ মানুষই তা বোঝেন না। না বুঝেই প্রত্যেকটি মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে অনেকে অপরাধ করছেন। অতিরিক্ত ডিআইজি শাহ আলম বলেন, বাংলাদেশে ২০টি ব্যাংকে মোবাইল ব্যাংকিং চালু রয়েছে। মোবাইল ব্যাংকিং যে উদ্দেশ্য নিয়ে চালু হয়েছিল তা ভিন্নখাতে ব্যবহৃত হচ্ছে। প্রতারকরা জীনের বাদশা, বালক পীড় ইত্যাদি পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন সময় মধ্যপ্রাচ্য ভিত্তিক প্রবাসী বাংলাদেশিদের কাছ থেকে মোবাইল ব্যাংকিং করে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। শাহ আলম বলেন, প্রতারকরা বিকাশ এজেন্টদের কাছে অন্য অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা নিচ্ছেন ২০ হাজার টাকা। এই টাকা কাগজে লেনদেন করার কোনো সুযোগ এজেন্টের নেই। কিন্তু তিনি তা টাকায় পরিশোধ করছেন। অন্যদিকে ওই প্রতারক সেই এজেন্টের একাউন্ট নাম্বার মোবাইল অপারেটর অফিসে গিয়ে ভূয়া ঠিকানায় ও ভূয়া স্বাক্ষর দিয়ে সিম তুলে নিচ্ছে। শুধু তাই নয়, তাদের এজেন্টদের খামখেয়ালিপনাও এক্ষেত্রে দায়ী। তাদের পিন নাম্বার কিছু কমন নাম্বারে হওয়ায় তা জানাও সহজ হওয়ায় প্রতারকরা এজেন্টদের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। তিনি বলেন, গত ৩১ জানুয়ারি বিকেল ৫টায় ফকিরাপুল রাওয়াহ এন্টারপ্রাইজের মালিক রফিকুল ইসলাম তার দোকানে ব্যবহৃত বিকাশ, ডিবিবিএল, ইউক্যাশ মোবাইল ফাইন্যান্স এর এজেন্ট অ্যাকাউন্ট থেকে জনৈক ব্যক্তির নম্বরের অনুকূলে ২৪ হাজার ৫০০ টাকা ও ৫ হাজার টাকা ক্যাশ আউট করে। একই রাতে অপর আরেক জনের ডাচ বাংলা মোবাইল ফাইন্যান্সিং এর মাধ্যমে ১ হাজার টাকা ক্যাশ আউট করার পর ডিএক্টিভেট দেখায়। এরপর তিনি বিষয়টি ব্যাংক ও মোবাইল অপারেটর কর্তৃপক্ষকে জানানো হলে তিনি জানতে পারেন তার সিমটি অন্য কেউ ব্যবহার করছেন এবং প্রতারণার মাধ্যমে টাকাও উঠিয়ে নেয়া হয়েছে। তিনি সিমটি রিপ্লেস করে দেখতে পান সিমে সেই টাকা আর নেই। এ বিষয়ে তিনি গত ২ ফেব্রুয়ারি মতিঝিল থানায় মামলা করেন। এ ঘটনায় সিআইডি তদন্ত শুরু করে। তদন্তে ১১ জনকে গ্রেফতার শেষে ৬ জনকে রিমান্ডে নেয় সিআইডি। জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য উঠে আসে। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতারক চক্র প্রতারণা করে আসছে। এক্ষেত্রে মোবাইল অপারেটর কোম্পানিগুলোর কয়েকজন জড়িত বলেও জানান তিনি। সংবাদ সম্মেলনে এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিআইডি’র বিশেষ পুলিশ সুপার (অর্গানাইজড ক্রাইম) মির্জা আব্দুল্লাহ হেল বাকী, রায়হান উদ্দিন খান, বিশেষ পুলিশ সুপার (এফটিআই) জান্নাত আরা ও অতিরিক্ত এসপি রায়হান উদ্দিন খান। জেইউ/জেএইচ/এবিএস

Advertisement