ভ্রমণ

হাবড়া শহরের অচেনা অতিথি

সাইখ আল তমাল

Advertisement

অবশেষে সব ঝামেলা শেষ করে পা রাখলাম ভারতের মাটিতে। মিনিট দুয়েক হাঁটলেই গেদে স্টেশন। সঙ্গে করে নিয়ে আসা টাকাগুলো বদলে নিলাম। একশ টাকার বিনিময়ে ঊনসত্তর রুপি ত্রিশ পয়সার মতো পাওয়া গেল। বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে বদল করলে সত্তর টাকার কিছুটা বেশি পাওয়া যেত। টাকা বদল করার জন্য দেশের টাকা দেশে রেখে যাওয়াই উত্তম পদ্ধতি। এপারের নিয়ম কানুন শেষ করে দমদমের টিকিট কাটলাম পঁচিশ রুপিতে। আলী ভাই কাটলেন শিয়ালদার টিকিট। ট্রেনটা দাঁড়ানোই ছিল স্টেশনে। সুবিধামতো বগিতে বসলাম দুজনে। মুখোমুখি বসলাম, আলাপে যেন সুবিধা হয়। গেদে থেকে শিয়ালদার প্রথম ট্রেন। দমদম যেতে মাঝপথে পাড়ি দিতে হয়েছে বত্রিশটি স্টেশন। হরিশনগর, ময়ূরহাট, বঙ্কিমনগর, রাণাঘাট, পায়রাডাঙ্গা, ইছাপুর বাহারি সব নাম স্টেশনগুলোর। লোকাল ট্রেন, তাই থামতে হয়েছে প্রতিটি স্টেশনে। দমদম যেতে ঘণ্টা তিনেক লাগবে মনস্থির করেই চড়েছি। ট্রেন চলতে শুরু করলো। বেশিরভাগ বগিতেই বাংলাদেশ থেকে আসা লোকজন। এ নিয়ে এপারের লোকেদের বরাবরই অভিযোগ। তাদের মতে, ওপার পার্টির জন্য বসার জায়গা পাওয়া যায় না। খানিকটা কটাক্ষের চোখেই দেখা হয় ব্যাপারটাকে। তবে রেললাইনের দুপাশের প্রকৃতি যাত্রাপথের ক্লান্তি মুছে দিয়েছে। ততক্ষণেও মনে হয়নি বিদেশে আছি। দুপাশে বিস্তৃত ফসলের ক্ষেত। শীতকাল, তাই দুপাশে বিস্তৃত হলুদ সরিষা ফুলের মনোরম দৃশ্য। পথে পথে কলাগাছও চোখে পড়লো বেশ।

বাংলাদেশের নেটওয়ার্ক ছেড়ে চলে এসেছি অনেক দূরে। আমি এখন যোগাযোগের বাইরে। স্টেশনে স্টেশনে থামছে ট্রেন আর প্রতিবারই নতুন যাত্রী উঠছে, কেউ কেউ নামছে। মাঝখানে কাকার বয়সী একজন আমাদের কামরায় উঠলেন। স্থানীয় মানুষ। আমাদের সঙ্গে অল্পতেই বেশ ভাব জমালেন। বাংলাদেশের গল্প শুনতে চাইলেন। এক পর্যায়ে কাকা জানতে চাইলেন, আমি বিডিআরে চাকরি করি কি না। মুচকি হেসে উত্তর দিলাম, না। কাকার মতে আমাকে দেখতে নাকি তেমনই লাগছে। কিছুক্ষণ পরে লোকটি নেমে গেলেন বিদায় জানিয়ে। ট্রেনে ভিড় ক্রমশ বাড়ছে। শিক্ষার্থী আর চাকরিজীবীরাই উঠছে বেশি। আমি বেশ চুপচাপ। আলী ভাই কথা বলছেন নানা বিষয়ে। আমি শুনছি। চোখে ঘুম আর ক্লান্তি ক্রমশ চেপে বসেছে। ঘণ্টা চারেকের মতো সময় লাগলো দমদম পৌঁছাতে। আলী ভাইকে বিদায় জানিয়ে নেমে পড়লাম। নেমেই স্টেশনের একজনের থেকে অনিকদাকে ফোন করে নিলাম। কলকাতার দিকে বৃষ্টি হয়েছে তাই তিনি বের হননি। আমাকে আবার ফিরতি ট্রেনে আসতে হলো হাবড়ায়। দমদম থেকে টিকিট কেটে প্ল্যাটফর্ম বদল করে বনগাঁ লোকালে চড়লাম। নামতে হবে হাবড়ায়। ট্রেনে চড়েই কথা ছিল অনিকদাকে জানাতে হবে। তিনজনের কাছে ফোন চাইলাম। সবাই হতাশ করলেন। তাই স্টেশনে নেমেই ফোনে জানালাম গন্তব্যে নেমেছি। অনিকদা আমাকে ওভারপাসের আশপাশে দাঁড়াতে বললেন, যেন সহজেই খুঁজে পান।

এখানে আসার আগে অনিকদার সঙ্গে আমার ভালো পরিচয় ছিল না। আমার রুমমেট দিগার ভাই দাদার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন। কিছুক্ষণ অপেক্ষা আর এদিক-ওদিক খোঁজাখুঁজির পর অনিকদাকে দেখতে পেলাম দাঁড়িয়ে। দাদাকে চেনার জন্য আমি খুব সহজ একটা কৌশল ঠিক করে রেখেছিলাম। ওভারপাসের আশপাশে মাথাভর্তি ঝাঁকড়া চুলের যাকে দেখব সে-ই অনিকদা। কৌশলে আমি সফল। কদিন আগেই তিনি এসেছিলেন ঢাকায়। সঙ্গে ছিলেন জয়দ্বীপ সিনহা। বেশ অল্প সময় তাদের দেখেছিলাম। অনিকদা সাইকেলে এসেছেন। স্টেশন পার হয়ে ভ্যানে চড়লাম। দাদাই সব বন্দোবস্ত করে দিলেন। তিনি সাইকেলে চেপে সামনে এগিয়ে গেলেন। বাড়ির সামনে আসতেই ভ্যান থামলো। দাদা পথ দেখিয়ে নিয়ে গেলেন। নতুন পরিবেশে এখনো খাপ খাইয়ে নিতে পারছি না। তার ওপর আবার ভিনদেশে অচেনা কারও বাড়িতে। ভেতরে প্রবেশ করে বসার ঘরে গেলাম। পরক্ষণেই কাকিমা এলেন। কাকিমাকে দেখেই মনটা ভালো হয়ে গেল সঙ্গে সঙ্গে। আদুরে সুরে কুশল জানতে চাইলেন। - এখানে এসে কেমন লাগছে? ক্লান্ত লাগছে রে তোর?- না কাকিমা, এতক্ষণ খুব ক্লান্ত ছিলাম। আপানাদের এখানে এসে একদম সতেজ লাগছে।কথাটা শুনে কাকিমা যেন খুশি হয়ে গেলেন। - চা খাবি না কফি?- চা খাবো।- দুধ, চিনি কিছু দেবো?- না কাকিমা। শুধু চা দেন, দুধ চিনি ছাড়া।- ওমা! দুধ, চিনি কিছুই খাবি না। তাই তো এত সুন্দর দেখতে তোকে।কাকিমার কথা শুনে লাজুক হাসলাম।অনিকদা বলল, ওরা তো ঢাকায় এটাকে রং চা বলে। মজার বিষয় কি জানো, ওখানকার লোকদের ভুঁড়ি নেই, খুব কম। কথাটা শুনে নিজের ভুঁড়ির দিকে তাকালাম। সত্যি তো, আমারও তো বলার মতো ভুঁড়ি নেই। আশপাশের অনেকেরই ভুঁড়ি নেই দেখি আজকাল।

Advertisement

এর মধ্যে কাকু আর বড় দাদাও এলেন আমার সঙ্গে পরিচিত হতে। অনিকদা আগে থেকেই সবাইকে বলে রেখেছেন। সবাইকে খানিকটা গর্ব করেই বলেছেন বোধহয়, ঢাকা থেকে আমার বন্ধু আসবে, সে জার্নালিস্ট। এখানে সবাই আমাকে এই পরিচয়েই চিনেছে। তবে আমি মোটেও জার্নালিস্ট পরিচয় নিয়ে কলকাতায় আসিনি। এসেছিলাম সাধারণ পরিচয়ে। কী আর করা, সবাই আমাকে যেভাবে নিচ্ছে সেটাই মেনে নিতে হলো। কাকু এসে বেশ কিছুক্ষণ রাজনীতি বিষয়ক আলোচনা করলেন। আমিও আগ্রহী ছিলাম। তাই আমাদের আলোচনা জমেছে বেশ। তবে অনিকদার পরিবার বেশ উদারপন্থী, সংস্কৃতিমনা। মুহূর্তে আপন করে নিয়েছেন একজন ভিনদেশি, ভিন্ন ধর্মের ছেলেকে। বুঝতেই দেননি আমি অতিথি। পুরোটা সময় মনে হয়েছে নিজের বাড়িতেই ছিলাম।

গোসল সেরে খেতে বসলাম সবার সঙ্গে। তবে অনিকদা বসেননি। দুপুরে খেতে খেতে রাতে কী খাবো, জানতে চাইলেন কাকিমা। তরকা খেয়েছি কি না জিজ্ঞাসা করলেন। খাবারটি মূলত নর্থ ইন্ডিয়ান। বাংলাদেশে এ খাবার আমি খাইনি। নাম শুনেছিলাম। ভারতে এসে এখানকার স্থানীয়রা কেমন ঘরানার খাবার খায়, সেটি চেখে দেখার সুপ্ত বাসনা আমার ছিল। না চাইতেই কাকিমা তা পূরণ করে দিলেন। কাকিমার হাতের তরকা খাওয়ার জন্য উদগ্রীব হয়ে রইলাম।

দুপুরে খাওয়ার পর ক্লান্ত শরীরে আমার জন্য বরাদ্দকৃত ঘরে গিয়ে বিছানায় গা এলিয়ে দিলাম। কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছি টের পাইনি। ঘুম ভাঙার পর ঘড়িতে দেখলাম সন্ধ্যা সাতটা পেরিয়েছে। এর মধ্যে কেউ হয়তো ডাকতে আসেনি। আসলেও আমি এসবের কিছুই টের পাইনি। ঘুম থেকে ওঠার পর কিছুটা আফসোস হলো। শুধু শুধু এতক্ষণ ঘুমিয়ে সময় নষ্ট করলাম। তবে দীর্ঘ সময় ঘুমানোর কারণে বেশ ফুরফুরে লাগছে এখন। অনিকদাকে ডেকে নিলাম। তার সঙ্গে হাবরায় খানিক বেড়াবো। বের হওয়ার আগে ছাদে গেলাম দুজনে। ছাদটা বেশ সুন্দর। অনেকগুলো ফুল ও ফলের গাছ। ছাদের রেলিং ধরে নালার মতো করে বানানো। এর মধ্যে মাটি ভরতি করে বেশ কিছু শাক-সবজি আর নানা প্রকার গাছ লাগানো। এমন পদ্ধতি আগে কখনো দেখিনি। এর মধ্যে আরেকজন দাদা এলেন। অনিকদার প্রতিবেশী বন্ধু, অগ্নি বোস। দুজনের সঙ্গেই আমার বয়সের তফাতটা ঢের বেশি। দুজনেই দিলখোলা মানুষ। তিনজন মিলে ছাদে খানিক আড্ডা দিয়ে বেরিয়ে পড়লাম। বেশ পরিকল্পিত নগরী হাবড়া। সবকিছু গোছানো। বাড়িগুলো দেখতে অনেক দক্ষিণ ভারতীয় সিনেমায় দেখানো বাড়িগুলোর মতো। খুব একটা উঁচু ভবন নেই। কলকাতায়ও নেই ঢাকার মতো। এখানকার পরিবেশে মনে হলো এখনো কারও বদনজর পড়েনি। তাই সতেজ। রাস্তাঘাটে খুব একটা লোকের ভিড় হয় না। নির্বিঘ্নে হাঁটাচলা করা যায়।

স্থানীয় কয়েকটা বিয়ের অনুষ্ঠান চোখে পড়লো। এদিকটায় এখনো বিয়েতে সানাই আর ব্যান্ড পার্টির চল রয়েছে দেখে বেশ আনন্দ পেলাম। তিনজন গল্পে গল্পে পা বাড়িয়ে চলেছি। গলিগুলোতে অদ্ভুদ মায়া জাড়ানো। লোকজন আছে তবে কোলাহল নেই। স্থানীয় কিছু স্ট্রিট ফুড খেলাম। চিকেন কাটলেট আর মোচা। মোচা মানে কলার মোচা। বিশেষ প্রক্রিয়ায় আলুর চপ ভাজার মতো করে বানায়। খেতে অতি মুখরোচক। বেড়ানোর পাট চুকিয়ে রাত গভীর হওয়ার আগেই বাড়ির পথ ধরলাম। অগ্নিদা বিদায় নিয়ে চলে গেলেন। আমি আর অনিকদা বাসায় চলে এলাম। হাত মুখ ধুয়ে খাবার টেবিলে বসলাম। কাকিমার বানানো তরকা আর রুমালি রুটির জন্য আগ্রহ আমার তখনো যায়নি। টেবিলে বসতেই তরকা আর রুমালি রুটি পাতে দিলেন কাকিমা। মুখে নিতেই প্রত্যাশার পারদ ছাপিয়ে যেন সর্বোচ্চ সীমায় উঠে গেল। পেট ও মন দুই ভরে গেল আমার। স্বাদ এখনো মুখে লেগে আছে।

Advertisement

পরদিন সকাল আটটায় ঘুম ভাঙলো। ঢাকায় ছাড়পোকার অত্যাচারে রাতে ভালো ঘুম হয় না তেমন। এখানে এসে ঘুমের আকাঙ্ক্ষার ঘড়া ষোলোকলা পূর্ণ করে নিলাম। ঘুম ভাঙলেও বিছানা ছাড়তে ইচ্ছা করছে না। সকাল সকাল কারও সাড়াশব্দ না পেয়ে একবার নিচতলায় গেলাম অনিকদার ঘরে। ঘুমাচ্ছে দেখে আর ডাকিনি। চলে এলাম ওপরের ঘরে। ঘণ্টা দুয়েক পর সে এলো। ভেবেছিলো বোধহয় ঘুমাচ্ছি। মিষ্টি ভুল বোঝাবুঝির পর্বের যবনীকা পতন করে নিচে এলাম নাস্তার টেবিলে। নাস্তার ফাঁকে ফাঁকে সারাদিনের ঘোরাঘুরির পরিকল্পনার ছক কষে নিলাম। তবে সন্ধ্যায় অনিকদার একটা শো আছে। তাই যা পরিকল্পনা তা একে মাথায় রেখেই করতে হবে। আমি আর ওসব নিয়ে মাথা ঘামাইনি। দাদা যেভাবে সব ঠিক করলো তাতেই সায় দিয়ে গেলাম। কাকিমাদের থেকে বিদায় নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম আমরা। যাওয়ার সময় কাকু তার মেট্রো ভ্রমণের কার্ড আমাকে দিলেন। ঢাকাতেও মেট্রোতে চড়েছি। এখানকার মেট্রোতে চড়ার শখটাও এই সুযোগে মিটিয়ে নেওয়া যাবে।

হাবড়া স্টেশন থেকে দমদমের ট্রেনে চড়লাম বিনা টিকিটে। ধরা পড়লে দায়ভার সব অনিকদার। আমি অতিথি মাত্র। কপালগুণে ধরা পড়িনি। তবে কাউকে বিনা টিকিটে ট্রেন ভ্রমণে যেতে আমি উৎসাহ দিচ্ছি না। দমদম ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনে নেমে অনিকদার বাসার উদ্দেশে অটোতে চড়লাম। পথে যেতে পুরোনো রেল শিল্পের পরিত্যক্ত জেসপ কারখানা চোখে পড়লো। ভারতের প্রাচীনতম প্রকৌশল প্রতিষ্ঠান জেসপ অ্যান্ড কোম্পানি দমদমেই ছিল। ১৭৭৮ সালে প্রতিষ্ঠিত ঐতিহাসিক প্রতিষ্ঠানটি ভারতের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন থাকলেও বিজেপির আমলে ২০০৩ সালে যখন অটল বিহারী বাজপেয়ী ক্ষমতায় ছিলেন; তখন রুইয়া গ্রুপের কাছে ৭২ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করে দেওয়া হয়।

জেসপের ইতিহাস টানতে গেলে বলতে হবে ব্রিন অ্যান্ড কোম্পানির কথা। ব্রিটিশ সিভিল ইঞ্জিনিয়ার উইলিয়াম জেসপের পুত্র হেনরি এবং জর্জ বাটারলি কোম্পানির পক্ষে ব্রিন অ্যান্ড কোম্পানি অধিগ্রহণ করে। এই দুটি কোম্পানিকে একীভূত করে ১৮২০ সালে নামকরণ করা হয় জেসপ অ্যান্ড কোম্পানি। দমদমের নেতাজি সুভাষ রোডে ছিল তেষট্টি একর জায়গাজুড়ে প্রতিষ্ঠিত কোম্পানির প্রধান কার্যালয়। তখন ভারতে ব্রিটিশ শাসন। ভারত সরকার ১৯৫৮ সালে কোম্পানির ব্যবস্থাপনা অধিগ্রহণ করে। পরবর্তীকালে ১৯৭৩ সালে এর সম্পূর্ণ মালিকানা ভারত সরকারের অধীনে চলে আসে। এর মধ্যে ১৭৮৩ সালে কর্নেল প্যাট্রিক ডাফ দমদম ক্যান্টনমেন্ট তৈরি করেন। আজকের যে দমদম ক্যান্টনমেন্ট রয়েছে, সেটির শুরুটা এভাবে। ক্যান্টনমেন্ট বানাতে গিয়ে ব্রিটিশ কোম্পানি সেনা ছাউনির চারপাশের গ্রামগুলোও আস্তে আস্তে অধিগ্রহণ করে নেয়। মোট চুরাশিটি গ্রাম নিয়ে গড়ে ওঠে ক্যান্টনমেন্ট।

অনিকদার মুখে শুনেছি, জেসপে একসময় দিনে পাঁচ শিফটে পঞ্চাশ হাজার শ্রমিক কাজ করতো। প্রতি শিফটে দশ হাজার করে। ভারতীয় রেল শিল্পের যাবতীয় জিনিসপত্র এখানেই তৈরি হতো। সেগুলো সরবরাহ করা হতো ভারতজুড়ে। কিন্তু তা আজ পরিত্যক্ত। ওপর দিয়ে বয়ে গেছে কলকাতা মেট্রোর লাইন। ভেতরটায় লোহা-লক্করে ভরতি। পোকামাকড়ের আড্ডা জমেছে বেশ।

চলবে...

প্রথম পর্ব পড়ুন

ট্রেনে চেপে ভারত পৌঁছালাম যেভাবে 

এসইউ/জিকেএস