লেটুস বা লেটুস পাতা খুবই উপকারী একটি শাক-সবজি। আমাদের দেশে বিভিন্ন খাবারের সঙ্গে এর ব্যবহার বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। লেটুস পাতা চাইলে কাঁচাই খাওয়া যায়। খেতে সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর হওয়ায় লেটুস পাতা পছন্দের তালিকায় রাখছেন অনেকেই।
Advertisement
জানা যায়, প্রাচীন মিশরীয়রা আগাছা থেকে সর্বপ্রথম লেটুসের আবিষ্কার করেন। তারপর গ্রিক এবং রোমানদের কাছে তেলসমৃদ্ধ বীজের কারণে এই উদ্ভিজ্জ লেটুস পাতা জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। আস্তে আস্তে ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকা লেটুসের বাজারে আধিপত্য বিস্তার করে। বিংশ শতাব্দির শেষদিকে লেটুসের ব্যবহার বিশ্বব্যাপী বিস্তৃতি লাভ করে।
লেটুস পাতা আঁশযুক্ত শাক-সবজি বলে এটি খাবার হিসেবে দেহের জন্য উপকারী। হজমও হয় দ্রুত। লেটুস পাতায় অতি অল্প পরিমাণে কোলেস্টরেল আছে এবং হৃদযন্ত্রের জন্য উপকারী। এ প্রসঙ্গে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, ‘লেটুস পাতায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, বি ও সি আছে। তাই এটি বেশ উপকারী সুষম খাদ্য।’
আরও পড়ুন
Advertisement
যশোরের শার্শা সরকারি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা পুষ্টিবিদ রেবেকা সুলতানা শিল্পী বলেন, ‘সাধারণত সালাদ, বার্গারের ভেতরে বা স্যান্ডউইচের মাঝে দিয়ে লেটুস পাতা খাওয়া হয়ে থাকে। লেটুস পাতা কাঁচা ও রান্না উভয়ভাবেই খাওয়া যায়। এতে নানা রকম ভিটামিন ছাড়াও আছে একেবারে কম ক্যালরি।’
এই পুষ্টিবিদ বলেন, ‘বিশ্ববাজারে বিভিন্ন চাইনিজ রেস্তোরাঁয় বহু সুস্বাদু খাবারের সঙ্গে ও খাবারের পাশে ডেকোরেশনের জন্য লেটুস পাতার ব্যাপক চাহিদা আছে। বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোয় লেটুস পাতার চাহিদা অনেক বেশি। কুয়েত, সৌদি আরব, দুবাই, কাতারে এ পাতা ব্যবহার হয়ে থাকে। লেটুস পাতা দৈনন্দিন জীবনে ভোজনরসিকরা প্রায় প্রতিবারের খাবার তালিকায় আগ্রহ নিয়ে খেয়ে থাকেন।’
এসইউ/জেআইএম
Advertisement