ভারতে ‘পাকিস্তানি ভাবি’ নামে জনপ্রিয়তা পাওয়া সীমা হায়দারকে আদালতে তলব করা হয়েছে। গত বছর প্রেমিকের সঙ্গে থাকার জন্য স্বামীকে ছেড়ে পাকিস্তান থেকে ভারতে চলে এসেছিলেন তিনি। তবে ভারতের নয়ডায় প্রথম স্বামীর করা মামলায় তাকে তলব করেছেন স্থানীয় এক পারিবারিক আদালত। ২৭ মে সীমাকে আদালতে উপস্থিত হতে বলা হয়েছে।
Advertisement
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, গত বছর মে মাসে চার সন্তানসহ অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের আগে সীমা হায়দার পাকিস্তানের গোলাম হায়দার নামে এক ব্যক্তির স্ত্রী ছিলেন। সীমা হায়দার সংযুক্ত আরব আমিরাত ও নেপাল হয়ে ভারতে আসার সময় তার প্রথম স্বামী সৌদি আরবে ছিলেন।
তার আগে মোবাইল গেম পাবজি খেলার সময় সীমার সঙ্গে পরিচয় ঘটে ভারতীয় যুবক শচীন মিনার। পরিচয় পরে প্রেমে পরিণতি পায়। এরপর প্রেমিকের টানে চার সন্তানকে নিয়ে ভারতের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। একপর্যায়ে নেপাল সীমান্ত হয়ে গ্রেটার নয়ডায় প্রবেশ করেন তিনি। তাদের দাবি, এর আগে কাঠমাণ্ডুতে দেখা করতে গিয়ে বিয়ে করেন তারা।
করাচির বাসিন্দা গোলাম হায়দার ভারতীয় আইনজীবীর সহায়তায় শচীন মিনার সঙ্গে সীমার বিয়ের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে নয়ডায় পারিবারিক আদালতে মামলা করেন। মামলায় সন্তানদের ধর্ম পরিবর্তনকেও চ্যালেঞ্জ করেছেন গোলাম হায়দার। তার আইনজীবী মোমিন মালিকের দাবি, গোলাম হায়দারের সঙ্গে সীমার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়নি, তাই শচীনের সঙ্গে তার বিয়ে বৈধ নয়।
Advertisement
এর আগে চার সন্তানের অভিভাবকত্ব পেতে পাকিস্তানের শীর্ষ আইনজীবী ও মানবাধিকারকর্মী আনসার বার্নির কাছে আইনি সহায়তা চেয়েছিলেন গোলাম হায়দার। এরপর বার্নি মোমিন মালিককে ভারতের আদালতে নিয়োগ দেন ও আইনি কার্যক্রম শুরু করার জন্য তাকে পাওয়ার অব অ্যাটর্নি পাঠান।
এর আগে বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সীমা বলেন, তিনি হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করেছেন। তিনি পাকিস্তানে ফেরত যেতে অস্বীকৃতি জানান। তার সন্তানও হিন্দুধর্ম গ্রহণ করেছে।
এ বিষয়ে আইনজীবী আনসার বার্নি বলেন, আন্তর্জাতিক আইনে অপ্রাপ্তবয়স্ক শিশুদের ধর্ম পরিবর্তন করানো নিষিদ্ধ।
সূত্র: এনডিটিভি
Advertisement
এসএএইচ