নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে হয়রানি করার কোনো প্রশ্নই আসে না বলে মন্তব্য করেছেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. খুরশীদ আলম খান।
Advertisement
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় ড. ইউনূসসহ চারজনের জামিনের বিষয়ে শুনানি ও হাজিরা শেষে সাংবাদিকদের কাছে এ মন্তব্য করেন তিনি।
খুরশীদ আলম খান বলেন, ড. ইউনূসের আইনজীবী নিজেই তো বলেছেন, একটি রায় হয়েছে শ্রম আদালতে। ড. ইউনূস ও তার প্রতিষ্ঠানের যারা কর্মকর্তা ছিলেন তাদের বিরুদ্ধে শ্রম আইনে মামলা হয়েছিল। তাদের নোটিশ করা হয়েছিল, সময় দেওয়া হয়েছিল। এরপর শ্রম আইনের বিধান অনুযায়ী কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে নিয়মিত মামলা করা হয়। সেই মামলায় আমরা চারজন সাক্ষী দিয়েছি। সেই সাক্ষীকে তারা দিনের পর দিন জেরা করেছেন এবং যুক্তিতর্ক ও শুনানি হয়েছে।
তিনি জানান, যে মামলা তিন মাসে শেষ হয় সেটা তিন বছরে শেষ হয়েছে। পরে শ্রম আদালত তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়ে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
Advertisement
আইনজীবী আরও বলেন, রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন তারা। পরে শ্রম আদালত পুরো রায় বাতিল ও স্থগিত করেন। তাকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে যায় কলকারখানা প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তর। হাইকোর্ট সেই ইস্যুটা রুল জারি করেন। পরে তা বাতিল করেন। সুতরাং এখানে আপিলের শুনানির জন্য ছিল, তারা আদালতে এসেছেন। তিনি একজন সাজার দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। এখানে কাউকে হয়রানি অথবা টার্গেট করার কোনো প্রশ্নই আসে না।
এর আগে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ও নোবেলজয়ী ড. ইউনূসসহ চারজনের জামিনের মেয়াদ ২৩ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়। অন্য তিনজন হলেন গ্রামীণ টেলিকমের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আশরাফুল হাসান, পরিচালক নূরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহান।
এ মামলার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল নিষ্পত্তি পর্যন্ত তাদের জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়েছিল। মঙ্গলবার সে আবেদনের শুনানির পর ঢাকার শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) এম এ আউয়াল (সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ) জামিনের মেয়াদ বাড়িয়ে আদেশ দেন।
তাদের পক্ষে আদালতে শুনানি করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ-আল-মামুন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার খাজা তানভীর আহমেদ ও এস এম মিজানুর রহমান।
Advertisement
মামলার বাদী কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শকের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট মো. খুরশীদ আলম খান ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দায়িত্বরত চিফ প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী।
এসময় ড. ইউনূসসহ অন্য তিন বিবাদী আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
এফএইচ/জেডএইচ/এমএস