ঈদের পর থেকেই তাপপ্রবাহে পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা। মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ শেষে আজ তীব্র তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে। এতে হাঁপিয়ে উঠেছে খেটে খাওয়াসহ সব শ্রেণির পেশার মানুষ।
Advertisement
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বিকেলে চুয়াডাঙ্গায় মৌসুমের ও দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ২৮ শতাংশ। এছাড়া সোমবার (১৫ এপ্রিল) ৩৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও রোববার ৩৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এর আগে এপ্রিলের শুরু থেকেই ঈদ পর্যন্ত একটানা তাপপ্রবাহে অসহ্য গরমে অতিষ্ঠ ছিল এ জেলার মানুষ। বাতাসে জলীয়বাষ্প বেশি থাকায় মূলত অসহ্য গরম অনুভূত হচ্ছে। তাপমাত্রার পারদ আরও উঠতে পারে বলে চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার থেকে বলা হচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ জামিনুর রহমান বলেন, অসহ্য গরম পরিস্থিতি থাকবে আরও কয়েকদিন।
তিনি বলেন, ‘এ বছর পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় মার্চ, এপ্রিলে গড় তাপমাত্রা বেড়ে যায়। আর চুয়াডাঙ্গা জেলার অবস্থান কর্কটক্রান্তি রেখার কাছাকাছি হওয়ায় প্রতি বছর মার্চ ও এপ্রিলে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি থাকে।
Advertisement
এদিকে, ধারাবাহিক তাপপ্রবাহে জনজীবনে অস্বস্তি আর ভোগান্তি নেমে এসেছে। এই তাপমাত্রায় অতিষ্ঠ সব শ্রেণি-পেশার মানুষ।
চুয়াডাঙ্গা কোর্টপয়াড়ার বাসিন্দা ইমরান শেখ বলেন, প্রচণ্ড গরমের কারণে কিছুই করা যাচ্ছে না। বিকেল হলেই আকাশ ঘন হয়ে আসে। এই বুঝি বৃষ্টি হবে। কিন্তু আবার সেই সকাল হয়, তখন প্রচন্ড রোদে অসহ্য গরম অনুভূত হয়।
চা-দোকানি গাফফার মিয়া বলেন, গরমে বিক্রি কম। তবে প্রচুর মানুষ দোকানের বেঞ্চে শুয়ে-বসে সময় কাটায়। তাড়াতাড়ি গরম কমুক।
চুয়াডাঙ্গা শহরের একটি ব্যাংকের বুথের গার্ড নাম বলতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বলেন, বুথের সামনে প্রচণ্ড রোদ গরমে দাঁড়ানো যাচ্ছে না। ছাতা নিয়ে ডিউটি করছি।
Advertisement
হুসাইন মালিক/এএইচ/এমএস