ঈদের ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। একই সঙ্গে একের পর এক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাচ্ছেন মানুষ।
Advertisement
সর্বশেষ ফরিদপুরে মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকালে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ১৩ জন। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন। নিহতদের মধ্যে একই পরিবারের রয়েছেন পাঁচজন।
আরও পড়ুন:
মা-স্ত্রী-দুই ছেলে নিয়ে ঢাকা ফিরছিলেন রফিক, পথে গেলো ৫ জনের প্রাণসরেজমিনে প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে দুর্ঘটনার বিস্তারিত তথ্য জানা গেছে। তারা জানান, প্রায়শই এ স্থানটিতে দুর্ঘটনা ঘটছে। এর কারণ হিসেবে রাস্তার গঠন ও মেরামতকে দায়ী করেন তারা।
Advertisement
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মরিয়ম বেগম জাগো নিউজকে বলেন, ঘটনাস্থলে আসার পর বাসটির একটি চাকা রাস্তার গর্তে পড়ে যায়। গাড়িটি আড়াআড়ি সড়কের ওপর দাঁড়িয়ে যায়। এসময় পিকআপটি বাসটির মাঝামাঝিতে এসে আঘাত করলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আরেক বাসিন্দা জানান, সকালে বিকট শব্দ পেয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে দেখি রাস্তায় বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে পিকআপের যাত্রীসহ ঘটনাস্থলে ১১ জন, হাসপাতালে নেওয়ার পর দুজন মোট ১৩ জন মারা যান।
তিনি আরও বলেন, ঈদের আগের থেকে এ পর্যন্ত কমপক্ষে ১৫-২০টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। রাস্তা উঁচুনিচু হওয়ার কারণে এসব দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন:
Advertisement
লাল মিয়া নামে অন্যজন জাগো নিউজকে বলেন, ফরেস্ট অফিস থেকে তেঁতুলতলা পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার সড়কে দুর্ঘটনাপ্রবণ। রাস্তা দূর থেকে মসৃণ মনে হয়, কিন্তু কাছে আসলে উঁচুনিচু ও ভাঙাচোরা বোঝা যায়। গত এক বছরে প্রায় ১৫০ এর বেশি ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটেছে।
দুর্ঘটনাস্থল দিকনগর এলাকার বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, এটা একটা দুর্ঘটনাকবলিত এলাকা। প্রতিদিনই ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটে। ঈদের আগে-পরে দুর্ঘটনা আরও বেড়েছে।
তিনি আরও বলেন, সকালে বিকট শব্দে ঘুম ভাঙে। রাস্তায় গিয়ে দুর্ঘটনার মর্মান্তিক দৃশ্যটি দেখি। সম্ভবত রাস্তা আঁকাবাঁকা ও রাস্তার বিভিন্ন স্থান ফুলে ওঠার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুন:
ফরিদপুরে বাস-পিকআপ সংঘর্ষে নিহত বেড়ে ১৩তবে কারণগুলো অস্বীকার করে সড়ক ও জনপদ বিভাগের (গোপালগঞ্জ জোন) অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী সাদেকুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, অভিযোগগুলো সঠিক নয়। সড়কের অবস্থা ভালো আছে। তবে কী কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে এ মুহূর্তে বলা সম্ভব নয়। তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তের পর বিস্তারিত তথ্য জানানো সম্ভব হবে।
হাইওয়ে মাদারীপুর রিজিওনের পুলিশ সুপার শাহিনুল আলম খান বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। পাঁচজনের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তপূর্বক বিস্তারিত তথ্য পরবর্তীতে জানানো যাবে।
এন কে বি নয়ন/এনআইবি/জেআইএম