ইসরায়েলি ভূখণ্ডে প্রথমবারের মতো ইরানের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘটনায় ‘সীমিত’ প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে ইসরায়েল। সেক্ষেত্রে, ইরানের বাইরে ইরান-সমর্থিত শক্তিগুলোর ওপর হামলা চালাতে পারে ইসরায়েলি বাহিনী। যুক্তরাষ্ট্রের চার কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজ।
Advertisement
গত শনিবার (১৩ এপ্রিল) ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে তিন শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে নজিরবিহীন হামলা চালায় ইরান। সম্প্রতি সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে হামলা চালিয়ে ১৩ জনকে হত্যার প্রতিক্রিয়ায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে তেহরান। দামেস্কে গত ১ এপ্রিলের ওই হামলার পরপরই কঠোর প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল তারা।
আরও পড়ুন>>
‘লড়াই আপাতত শেষ, ইসরায়েল প্রতিশোধের চেষ্টা করলে আরও বড় আক্রমণ’ ইরানের নজিরবিহীন হামলা, নজর এখন ইসরায়েলের দিকে কুয়েত-কাতারের মার্কিন ঘাঁটি থেকে ইরানের ওপর হামলা নিষিদ্ধএরপর থেকেই ইরানের সম্ভাব্য হামলা ও তার সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়ার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের কর্মকর্তাদের মধ্যে নিয়মিত কথা হচ্ছিল। সেসব আলোচনার প্রেক্ষিতেই উল্লেখিত চার মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, ইরানের হামলার পর ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়া ‘সীমিত’ হতে পারে।
Advertisement
মার্কিন কর্মকর্তারা বলেছেন, ইসরায়েল গত সপ্তাহে যখন সম্ভাব্য ইরানি হামলার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল, তখন ইসরায়েলি কর্মকর্তারা সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রকে অবহিত করেছিলেন।
তবে মার্কিন কর্মকর্তারা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, প্রতিক্রিয়া কীভাবে জানানো হবে সে বিষয়ে ইসরায়েলের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত সম্পর্কে তাদের এখনো অবহিত করা হয়নি এবং সপ্তাহান্তে ইরানি হামলার পর তাদের পরিকল্পনাগুলো পরিবর্তিতও হতে পারে।
তারা আরও বলেছেন, ইসরায়েলের পাল্টা হামলা কখন শুরু হবে, তা স্পষ্ট নয়। তবে এটি যে কোনো সময় ঘটতে পারে।
আরও পড়ুন>>
Advertisement
যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বলেছেন, ইরান যদি সীমিত পরিসরে আক্রমণ করে অথবা বিস্তৃত হামলা চালায়, যাতে ইসরায়েলি প্রাণহানি ও অবকাঠামো ধ্বংসের ঘটনা ঘটে, তাহলে ইসরায়েলের সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়া কী হতে পারে, সে বিষয়ে গত সপ্তাহে মার্কিন কর্মকর্তাদের অবহিত করেছিলেন ইসরায়েলি কর্মকর্তারা। তাদের সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়াগুলোর মধ্যে ইরানের অভ্যন্তরে কোনো সামরিক পদক্ষেপ না নেওয়ার বিষয়টিও ছিল।
মার্কিন কর্মকর্তারা বলেছেন, যেহেতু ইরানের হামলায় ইসরায়েলে কোনো প্রাণহানি বা ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ঘটেনি, তাই ইসরায়েল হয়তো তাদের অন্যতম কম আগ্রাসী কৌশলটিই বেছে নিতে পারে। সেটি হলো- ইরানের বাইরে হামলা।
এক্ষেত্রে, সিরিয়ার ভেতরে হামলার আশঙ্কাই বেশি। তবে, এই হামলায় ইরানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিশানা করা হবে বলে মনে করছেন না মার্কিন কর্তারা। বরং ইরান থেকে হিজবুল্লাহর কাছে পাঠানো উন্নত ক্ষেপণাস্ত্রের যন্ত্রাংশ, অস্ত্র বা উপাদানের চালান অথবা গুদামগুলোতে হামলা চালাতে পারে ইসরায়েল।
তবে, ইসরায়েলের এই প্রতিশোধমূলক সামরিক পদক্ষেপে যুক্তরাষ্ট্র অংশ নেবে না বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউজ।
কেএএ/