ইসরায়েলিদের বর্বর হামলায় এরই মধ্যে নিজদের বাড়ি-ঘর হারিয়ে বাস্তুচ্যুত গাজাবাসী। শুধু বাড়ি নয়, মসজিদও রক্ষা পায়নি হামলা থেকে।
Advertisement
এ অবস্থায় বাংলাদেশের মানুষের দেওয়া অনুদানের টাকায় গাজার খান ইউনিসের আল মাওয়াশিতে একটি অস্থায়ী মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে। বাংলাদেশের চ্যারিটি সংস্থা ‘আশ ফাউন্ডেশন’র উদ্যোগে নির্মাণ হয় এই মসজিদ।
খান ইউনিসে আশ্রকেন্দ্রে ছোট ছোট তাঁবুতে আশ্রয় নিয়েছেন অনেক ফিলিস্তিনি। সেখানে ১২ এপ্রিল জুমার নামাজের আজান দিয়ে মসজিদটি উদ্বোধন করা হয়। মসজিদের যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘মসজিদ আলহাজ্ব শামসুল হক’।
কাঠ আর ত্রিপলের তৈরি এই মসজিদে আশ্রয়কেন্দ্রের বিভিন্ন তাঁবু থেকে এসে জুম্মার নামাজ আদায় করেন শতাধিক বাস্তুহারা ফিলিস্তিনি। এসময় বাংলাদেশিদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে খুতবা দেন মসজিদের ইমাম।
Advertisement
এর আগে ‘আশ ফাউন্ডেশন’ অসহায় গাজাবাসীদের ত্রাণ, ওষুধ, শিশুদের জন্য কাফনের কাপড় ও খাবার দিয়ে সহায়তা করে আসছে।
ফাউন্ডেশনের সভাপতি প্রকৌশলী মুহাম্মদ নাছির উদ্দিন জানান, বাংলাদেশের মানুষের দেওয়া অনুদানে ফিলিস্তিনে এটি আমাদের তৈরি প্রথম মসজিদ। গাজাবাসীর জন্য এখানে হাজারো মসজিদের প্রয়োজন। আশ ফাউন্ডেশনের কর্মসূচিতে আপাতত বিভিন্ন ক্যাম্পে ১০০ অস্থায়ী মসজিদ নির্মাণের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। আগামীতে গাজা পুনর্নির্মাণের সময় এ মসজিদগুলো স্থায়ী মসজিদে রূপ নেবে। নাসির উদ্দিন আরও বলেন, দাতারা চাইলে নিজেদের নামেও এখানে স্বল্প বাজেটে অস্থায়ী মসজিদ নির্মাণ করতে পারেন।
উল্লেখ্য, আমেরিকায় রেজিস্টার্ড আশ ফাউন্ডেশন ও বাংলাদেশের অনুমোদিত এনজিও সংস্থা ‘আলহাজ্ব শামসুল হক ফাউন্ডেশনে’র উদ্যোগে গত নভেম্বর থেকে গাজায় খাবারসহ প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি পাঠানো হচ্ছে।
উভয় ফাউন্ডেশনের সভাপতি নাসির উদ্দিন জানান, বর্তমানে আশ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে গাজার বিভিন্ন ক্যাম্পে টয়লেট নির্মাণ ও পানির ট্যাংক স্থাপনের কাজ চলছে।
Advertisement
এ ক্ষেত্রে তিনি প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন সাপেক্ষে ফিল্ড হসপিটাল, ইয়াতিমখানা, মসজিদ ইত্যাদি নিয়ে গাজায় ‘বাংলাদেশ কমপ্লেক্স’ নামে একটা ওয়ান স্টপ সেবাকেন্দ্র চালু করার স্বপ্ন দেখছেন।
নাসির উদ্দিন বলেন, গাজায় মালয়েশিয়ান হসপিটাল, ইন্দোনেশিয়ান হসপিটাল নামে বেশ কয়েকটা হসপিটাল সেবা দিয়ে যাচ্ছে।
জেডএইচ/এএসএম