জাতীয়

অ্যাসবেস্টস সংক্রমণজনিত রোগে বছরে মারা যায় লাখো শ্রমিক

বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থা ও আন্তর্জাতিক শ্রমসংস্থার তথ্যানুযায়ী বিশ্বে প্রতিবছর প্রায় এক লাখ শ্রমিক অ্যাজবেস্টস সংক্রমণজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। বিশ্বের ৬২টি দেশে অ্যাসবেস্টসের ক্ষতিকারক দিক বিবেচনায় এর উৎপাদন, আমদানি ও বিপনন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বাংলাদেশ শ্রম আইন অনুযায়ী অ্যাসবেস্টস সংক্রমণজনিত রোগ এবং ক্ষতিপূরণযোগ্য পেশাগত ব্যাধি।

Advertisement

সোমবার (১৫ এপ্রিল) সকাল ১১টায় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে মানব স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক ক্রিসোটাইল অ্যাসবেস্টস এবং অ্যাসবেস্টস যুক্ত পণ্যের অবাধ আমদানি, বিপনন ও ব্যবহার বন্ধের দাবিতে আয়োজিত এক বিশেষ সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান ওশি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক আমিনুর রশীদ চোধুরী রিপন।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, অ্যাসবেস্টস একটি ধূসর রঙের খনিজ যা সহজেই দীর্ঘ নমনীয় ফাইবারে বিভক্ত হয়ে যায়। এটি অগ্নিরোধী, বিদ্যুৎ অপরিবাহী এবং রাসায়নিকভাবে প্রতিরোধী। ধূলিকণা হিসেবে শ্বাস নেওয়া হলে এটি গুরুতর ফুসফুসের রোগের কারণ হতে পারে।

আমিনুর রশীদ চৌধুরী রিপন জানান, গবেষণায় বাংলাদেশে তৈরি সিমেন্ট শিট, একটি আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের বেবি টেলকম পাউডার, গাড়ির ব্রেক শু ও সীতাকুন্ডে জাহাজ ভাঙা শিল্প এলাকা থেকে সংগৃহীত নমুনা বিশ্লেষেণ করে সিমেন্ট শিটে ৫০ ভাগ ও ব্রেক শু'তে ১৫ ভাগ ক্রিসোটাইল অ্যাসবেস্টের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। বেবি টেলকম পাউডার ও সীতাকুন্ড এলাকার মাটির যে নমুনা পরীক্ষার জন্য নেওয়া হয়েছিল তাতে অ্যাসবেস্টস পাওয়া যায়নি। তবে আরও নমুনা পরীক্ষার প্রয়োজন আছে বলে জানান তিনি।

Advertisement

সংবাদ সম্মেলনে জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের ওপর হুমকি বিবেচনায় নিয়ে দ্রুত অ্যাসবেস্টসের আমদানি, ব্যবহার ও বিপনন নিষিদ্ধ করার দাবি জানান বক্তারা। এছাড়াও ২০২১ সালের ২ ডিসেম্বর, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশে সকল প্রকার অ্যাসবেস্টসের ব্যবহার বন্ধকরণ বিষয়ক সভায় ক্রিসোটাইল অ্যাসবেস্টসের ক্ষতিকারক প্রভাব বিষয়ে গবেষণাসহ অন্যান্য যেসব সিদ্ধান্ত হয়েছিল তা বাস্তবায়ন করার তাগিদ দেন তারা।

এএএম/এসআইটি/জিকেএস