আন্তর্জাতিক

কলকাতায় ধুমধামে উদযাপিত হলো পহেলা বৈশাখ

আজ পহেলা বৈশাখ, বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন। ১৪৩১ বঙ্গাব্দের সূচনা। এদিন পশ্চিমবঙ্গজুড়ে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনায় উদযাপিত হলো বাঙালির প্রাণের এই উৎসব। বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে বাংলা নতুন বছরকে বরণ করলেন পশ্চিমবঙ্গের মানুষেরা।

Advertisement

কয়েকদিন ধরে পশ্চিমবঙ্গজুড়ে চলছে ভয়াবহ তাপপ্রবাহ। এই তীব্র গরম উপেক্ষা করেই রোববার (১৪ এপ্রিল) নতুন বর্ষ বরণে রাস্তায় বেরিয়েছিলেন বহু মানুষ।

আরও পড়ুন>>

চাঁদ দেখা যায়নি, কলকাতায়ও ঈদ বৃহস্পতিবার কলকাতার বৃহত্তম ঈদ জামাতে ফিলিস্তিনিদের জন্য দোয়া করলেন মুসল্লিরা কলকাতায় বাংলাদেশিদের ভিড়ে জমজমাট ঈদবাজার

এদিন বিভিন্ন বাড়ির মেঝেতে আঁকা হয়েছিল ঐতিহ্যবাহী আলপনা। এগুলোকে সৌভাগ্য ও সমৃদ্ধির প্রতীক হিসেবে মনে করেন অনেকে।

Advertisement

পহেলা বৈশাখকে স্বাগত জানাতে রঙে রঙিন হয়ে উঠেছিল কলকাতার রাজপথগুলোও। জায়গায় জায়গায় আঁকা হয়েছিল রঙ-বেরঙের আলপনা। সকাল থেকেই অলিগলিতে সাজানো মঞ্চে সঙ্গীত ও নৃত্য পরিবেশনায় প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে তিলোত্তমা নগরী।

এদিন সকালে দক্ষিণেশ্বর কালি মন্দিরে পূজা দিতে এসে বরাহনগরের বাসিন্দা সৌরভ সরকার বলেন, বাংলা নববর্ষের এই দিনে ঈশ্বর সবাইকে ভালো রাখুন। আজ সারাদিন বাঙালিয়ানা খাওয়া-দাওয়া ছাড়াও পরিবারের সবাইকে নিয়ে সময় কাটাবো।

আরও পড়ুন>>

পশ্চিমবঙ্গে রুপির বিপরীতে টাকার মান কমেছে ঈদের আগে সোনার দামে রেকর্ড, ক্রেতাদের মাথায় হাত ভোটের আগে পশ্চিমবঙ্গে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার ‘অপব্যবহার’ হচ্ছে?

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী আগেই পহেলা বৈশাখকে পশ্চিমবঙ্গ দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছেন। তবে লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হওয়ার ফলে আদর্শ আচরণবিধি কার্যকর থাকায় কোনো রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা এই দিনটি উদযাপনে অংশ নিতে পারছেন না।

Advertisement

পহেলা বৈশাখ উদযাপনের জন্য রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন করা হয়েছিল। সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে অনুমতি দিয়েছে কমিশন। তাই রাজ্য সরকারের সব দপ্তরে পশ্চিমবঙ্গ দিবস উদযাপন করা হয়েছে।

কলকাতার মেয়র ফিরাদ হাকিম জানিয়েছেন, কলকাতা সিটি করপোরেশনে পশ্চিমবঙ্গ দিবস উদযাপিত হয়েছে। বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন পৌরসভাতেও এই দিবস ও পহেলা বৈশাখ উদযাপন করা হয়েছে।

ডিডি/কেএএ/