সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে এমভি আবদুল্লাহ জাহাজে জিম্মিদশা থেকে মুক্ত নাবিক ইব্রাহিম খলিল উল্লাহ বিপ্লবের ফেরার অপেক্ষায় রয়েছেন স্বজনরা।
Advertisement
রোববার (১৪ এপ্রিল) বিকেলে ফেনী শহরের বাসায় গিয়ে দেখা যায়, স্বজনদের মুখে যেন ঈদের আনন্দ ফুটে উঠেছে।
ইব্রাহিম খলিল উল্লাহ বিপ্লবের বাড়ি ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার মাতুভূঞা ইউনিয়নের মোমারিজপুর গ্রামে। পরিবার নিয়ে শহরে নাজির রোডে ভাড়া বাসায় থাকেন তারা।
সেখানে গিয়ে দেখা গেছে, সবার মাঝে যে উৎকণ্ঠা ছিল সেটি কেটে গেছে। এখন তারা বিপ্লবের ফেরার অপেক্ষায় রয়েছেন। আট বছর আগে জাহাজের চাকরিতে যান ইব্রাহিম। চারমাস আগে বাড়িতে এসে একমাস অবস্থান করেন। ইব্রাহিম ওই জাহাজে ইলেকট্রিশিয়ান পদে কর্মরত। রেদওয়ান বিন ইব্রাহিম ও রিহান বিন ইব্রাহিম নামের তার দুই সন্তান রয়েছে।
Advertisement
আরও পড়ুন
মুক্তি পেয়েই বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলেছেন তৌফিকবিপ্লবের স্বজন নজরুল ইসলাম বলেন, সরকার ও জাহাজ কর্তৃপক্ষের যৌথ তৎপরতায় জাহাজের নাবিকদের জিম্মিদশা থেকে মুক্তির খবর আমরা পেয়েছি। এখন তাদের দ্রুত ফিরিয়ে আনার প্রত্যাশা করছি।
তার মা রৌশনারা বলেন, আমরা খুবই কষ্টে দিন অতিবাহিত করছি। আমার ছেলেসহ জিম্মি সবাইকে দ্রুত দেশে এনে পরিবারের নিকট ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানাই।
বিপ্লবের স্ত্রী উম্মে সালমা সোনিয়া জানান, সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের প্রচেষ্টা এবং দেশের মানুষের দোয়ায় জলদস্যুদের কবল থেকে নাবিকরা মুক্ত হয়েছেন। এখন অপেক্ষা বাড়ি ফেরার।
Advertisement
গত মঙ্গলবার ভারত মহাসাগরে জলদস্যুরা বাংলাদেশের পতাকাবাহী ‘এমভি আবদুল্লাহ’ নামের জাহাজটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সোমালিয়া উপকূলের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। পণ্যবাহী জাহাজটির মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান কবির গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ। গত ১২ মার্চ দুপুর ১টার দিকে জাহাজটি জলদস্যুদের কবলে পড়ার খবর জানতে পারে বাংলাদেশের অন্যতম শিল্পগোষ্ঠীটির কর্তৃপক্ষ।
আবদুল্লাহ আল-মামুন/আরএইচ/এএসএম