জাতীয়

বাহাদুর শাহ পার্ক সংরক্ষণ করতে বললেন সেতুমন্ত্রী

রাজধানীর বাহাদুর শাহ পার্ক সংরক্ষণ করতে বললেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

Advertisement

রোববার (১৪ এপ্রিল) বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভা ও বর্ণাঢ্য র‌্যালি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

এসময় সেতুমন্ত্রী বলেন, আমাদের ঐতিহাসিক বাহাদুর শাহ পার্ক। এখানে অনেক স্মৃতি, পলাশীর যুদ্ধে নবাব সিরাজ উদ দৌলার পতনের ১০০ বছর পর ১৮৫৭ সালে বাংলার ব্যারাকে সিপাহি মঙ্গলপান্ডের মুর্শিদাবাদ থেকে শুরু করে আমাদের এই পুরান ঢাকার বুড়িুগঙ্গার তীরে। এই পুরান ঢাকা ছিল ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের একটি কেন্দ্র। এই স্মৃতির অনল এখনো বহন করে চলছি।

বাহাদুর শাহ পার্ক সংরক্ষণের কথা বলে তিনি বলেন, কর্তৃপক্ষকে বলবো এখানে আমাদের ইতিহাস, আমাদের অনেক স্মৃতি, অনেক লড়াই-সংগ্রামের স্মৃতি রয়েছে। এই স্মৃতি ধরে রাখতে হবে। স্মৃতি সংরক্ষণের জন্য আমাদের কর্মসূচি নিতে হবে।

Advertisement

পার্কটি দেখতে ডিম্বাকৃতি। আগে লোহার রেলিং দিয়ে ঘেরা থাকলেও কয়েক বছর আগে পার্কটি পুনর্নির্মাণ করে উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। এখন আর চারপাশে কোনো রেলিং নেই, আছে পার্কের সুন্দর পরিবেশ। চারপাশজুড়ে টাইলস করা বসার জায়গা, রয়েছে পরিপাটি টয়লেট।

পার্কটির চারপাশে সরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসহ বেশ কিছু স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় থাকার কারণে এটি পুরান ঢাকার অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা হিসেবে বিবেচিত।

১৯৫৭ সালের আগ পর্যন্ত পার্কটি ভিক্টোরিয়া পার্ক নামে পরিচিত ছিল। ১৮৫৭ সালের সিপাহি বিদ্রোহের পর এক প্রহসনমূলক বিচারে ইংরেজ শাসকরা ফাঁসি দেয় অসংখ্য বিপ্লবী সিপাহিকে। তারপর জনগণকে ভয় দেখাতে সিপাহিদের লাশ এনে ঝুলিয়ে দেওয়া হয় এই ময়দানের বিভিন্ন গাছের ডালে। ১৯৫৭ সালে (মতান্তরে ১৯৬১) সিপাহি বিদ্রোহের শতবার্ষিকী পালন উপলক্ষে এখানে একটি স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করে পার্কের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় বাহাদুর শাহ পার্ক।

এফএইচ/জেডএইচ/এমএস

Advertisement