প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেছেন, বাংলা নববর্ষ বাঙালির প্রাণের উৎসব। বাংলার চিরায়ত সংস্কৃতির এ উৎসব পালনে একটি অপশক্তি বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। মঙ্গল শোভাযাত্রাকেও নস্যাৎ করতে চেয়েছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা দৃঢ়তার সঙ্গে সবকিছু মোকাবেলা করেছেন। এখন আর কোনো অপশক্তি বাংলার সার্বজনিন উৎসবে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারবে না।
Advertisement
রোববার (১৪ এপ্রিল) সকাল ৯টায় সিলেট জেলা প্রশাসন আয়োজিত বর্ষবরণ আয়োজনে অংশ নিয়ে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি আরও বলেন, বঙ্গন্ধু অসাম্প্রদায়িক চেতনা নিয়ে এদেশ স্বাধীন করেছিলেন। নতুন বছরে এদেশ থেকে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ ও মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তিকে নস্যাৎ করে সেই অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়তে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
এদিকে বাংলা নববর্ষ উদযাপনে জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন দিনব্যাপী নানা অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছে।
Advertisement
সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে শোভাযাত্রা শুরু হয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক ঘুরে রিকাবীবাজারস্থ কবি নজরুল অডিটোরিয়ামে গিয়ে শেষ হয়। শোভাযাত্রায় প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, আওয়ামী লীগ, বিভিন্ন পেশাজীবি সংগঠন, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন এবং স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। শোভাযাত্রায় আবহমান বাংলার ইতিহাস-ঐতিহ্যের প্রতীকী উপস্থাপন করা হয়।
শোভাযাত্রা শেষে অডিটোরিয়ামের মুক্তমঞ্চে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার আবু আহমদ সিদ্দিকী, পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন ও জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী দেবজিৎ কুমার সিনহা।
অন্যদিকে, নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে সিলেট সিটি করপোরেশন। এর মধ্যে রয়েছে র্যালি ও আলোচনা সভা।
বর্ষবরণে নগরীর মিরের ময়দানস্থ শ্রীহট্ট সংস্কৃত কলেজে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে সাংস্কৃতিক সংগঠন আনন্দলোক। এছাড়া ব্লু বার্ড স্কুল অ্যান্ড কলেজে শ্রুতির আয়োজনে বৈশাখী উৎসব পালিত হচ্ছে।
Advertisement
আহমেদ জামিল/এনআইবি/এমএস