অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ কামনায় রমনার বটমূলে শেষ হলো ছায়ানটের বৈশাখী উৎসব। রোববার সকাল সোয়া ৬টায় এই উৎসব শুরু হয়েছিল। উৎসবে অংশ নেন দেশের ধর্ম, বর্ণ, গোত্র, ধনী নির্বিশেষে সব শ্রেণিপেশার মানুষ। ফলে পহেলা বৈশাখের এই আয়োজন এক বর্ণাঢ্য মহোৎসবে রূপ নেয়। পরে সকাল ৯টায় বৈশাখী উৎসব শেষ হয়।
Advertisement
বাংলা বর্ষপঞ্জিতে রোববার শুরু হয়েছে ১৪৩১ সনের দিন গণনা। আর নতুন বছরের দিনটি উদযাপনে সবচেয়ে বড় উৎসব বসেছিল রাজধানীর রমনা বটমূলে।
উৎসবে যোগ দেওয়া লোকজন জানিয়েছেন, নতুন বছর মানেই একটি নতুন সম্ভাবনা। নতুন বছরের নতুন দিনের এই আয়োজন দেশ, জাতি, সমাজ ও ব্যক্তিজীবনের সমৃদ্ধি অর্জনের প্রেরণা জুগিয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ভোর ছয়টা থেকে রমনা বটমূলে মানুষের ঢল নামে। তাদের পোশাকে স্থান পায় লাল-সাদার প্রাধান্য। নারীরা লাল-সাদা শাড়ি, কাচের চুড়ি, দুল-মালায় বাঙালিয়ানায় সেজেছেন। পুরুষের গায়ে শোভা পেয়েছে একই রং-নকশার পাঞ্জাবি। তারা রমনা বটমূল ছায়ানটের প্রভাতি অনুষ্ঠানের গান, কবিতা আসরে যোগ দেন। অনুষ্ঠান শেষে তারা রমনা পার্কের বিভিন্ন অংশ ঘুরছেন ছবি তুলছেন।
Advertisement
রাজধানী পান্থপথ থেকে রমনার বৈশাখী উৎসবে যোগ দিয়েছিলেন আবসার উদ্দিন দম্পতি। তিনি জানান, রমনার বটমূলে দিনের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে আহির ভৈরব রাগে বাঁশির সুরে ছায়ানটের নতুন বছর আবাহনের শুরু হয়েছিল। এবারের অনুষ্ঠানের মূলভাব ছিল মানুষ ও মানবতার জয়গান। সুরে সুরে দেওয়া হচ্ছে মানুষকে ভালোবেসে নিজেকে সার্থক মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার প্রেরণা। আর নতুন বছরের প্রভাতে বাঙালিকে বরাভয় দিতে বলা হচ্ছে, ‘নাই নাই ভয় হবে হবে জয়...।’
এমএমএ/জেডএইচ/এমএস