জাতীয়

ঈদের তৃতীয় দিনে জাতীয় জাদুঘরে দর্শনার্থীদের ভিড়

ঈদুল ফিতরের তৃতীয় দিনে শাহবাগের বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে দর্শনার্থীদের ভিড় লেগেছে। শনিবার (১৩ এপ্রিল) সকাল থেকে সারিবদ্ধভাবে জাদুঘরে ঢুকছেন লোকজন। দুপুর গড়িয়ে বিকেল হতে বাড়তে থাকে দর্শনার্থীদের ভিড়।

Advertisement

ঈদুল ফিতরের দিন ঢাকার প্রায় সব বিনোদন কেন্দ্র খোলা ছিল। কিন্তু সেদিন জাতীয় জাদুঘর ছিল বন্ধ। ফলে বহু মানুষ শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরে গিয়ে ফিরে যান। এরপর গতকাল শুক্রবার দুপুর ২টা ৩০ মিনিট থেকে রাত সাড়ে সাতটা পর্যন্ত জাদুঘর খোলা ছিল। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে চারটা পর্যন্ত খোলা ছিল জাদুঘর।

জাতীয় জাদুঘর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গতকাল প্রায় ৫ হাজার দর্শনার্থী জাতীয় জাদুঘর পরিদর্শন করেন। আজ জাদুঘর পরিদর্শন করেছেন আনুমানিক ৮ হাজার মানুষ।

শনিবার সরেজমিনে দেখা যায়, জাতীয় জাদুঘরের প্রধান ফটকের দুই পাশে দুটি টিকিট কাউন্টারে দীর্ঘ লাইন। দর্শনার্থীদের বেশিরভাগই শিশু-কিশোর। তারা পরিবারের বাবা-মা, ভাই-বোনের সঙ্গে এসেছে। এরমধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক দর্শনার্থী ৪০ টাকা, ৩ থেকে ১২ বছরের নিচে শিশুদের ২০ টাকা, সার্কভুক্ত দেশের দর্শনার্থী ৩০০ টাকা, অন্যান্য বিদেশি দর্শনার্থীদের টিকিট ৫০০ টাকা করে রাখা হচ্ছে।

Advertisement

দর্শনার্থীরা প্রধান ফটক দিয়ে ভেতরে ঢুকে নিজেদের সঙ্গে রাখা ব্যাগ লাগেজ কাউন্টারে জমা রাখছেন। তারপর জাদুঘর ভবনের ফটকে টিকিট দেখিয়ে সারিবদ্ধভাবে ভিতরে যাচ্ছেন।

রাজধানীর আজিমপুর চায়না বিল্ডিং গলির বাসিন্দা হাবিব হাসান। স্ত্রী এবং দুই বাচ্চাকে নিয়ে জাতীয় জাদুঘরে এসেছেন। আলাপকালে হাবিব হাসান বলেন, ঈদের দিন বিকেলে জাতীয় জাদুঘরে ঘুরতে এসেছিলাম। কিন্তু সেদিন জাতীয় জাদুঘর বন্ধ থাকায় ঢাকার অন্যান্য স্থানে বেড়াতে যাই। পরে বাচ্চারা আজ আবার জাতীয় জাদুঘর আসার জন্য আবদার করে। এ কারণে আজ এসেছি। জাদুঘরের ভেতরের বিভিন্ন অংশ ঘুরে তারা খুবই খুশি হয়েছে।

কদমতলী থেকে এসেছেন নবদম্পতি কামরুল ইসলাম ও তানিয়া খান। কামরুল ইসলাম বলেন, গত দুদিন ধরে ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় স্ত্রীকে নিয়ে ঘুরেছি। আজ জাতীয় জাদুঘরে এলাম। জাদুঘরের ভেতর ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধসহ দেশের বিভিন্ন ইতিহাস-ঐতিহ্য, সংস্কৃতির চিহ্ন দেখে খুবই ভালো লাগছে।

বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের সচিব গাজী মো. ওয়ালি-উল-হক জাগো নিউজকে বলেন, ঈদের পর গতকাল শুক্রবার (১২ এপ্রিল) জাদুঘর প্রথম খুলেছিল। দুপুর থেকে রাত সাড়ে সাতটা পর্যন্ত প্রায় পাঁচ হাজার দর্শনার্থী জাদুঘরে এসেছিলেন। আজ যেহেতু সকাল থেকে খোলা ছিল, এজন্য দর্শনার্থীর পরিমাণও অনেক বেশি। সব মিলে আজ প্রায় আট হাজার হবে। আগামীকাল রোববার (১৪ এপ্রিল) বাংলা নববর্ষ। তাই আগামীকালও দর্শনার্থীদের উপস্থিতি রেকর্ড ভাঙতে পারে।

Advertisement

এমএমএ/এমএইচআর/এএসএম