দেশজুড়ে

ঈদের ছুটিতে ভোলার পর্যটন স্পটগুলোতে মানুষের ঢল

ঈদ ও পহেলা বৈশাখের টানা ছুটিতে ভোলার পর্যটন স্পটগুলোতে মানুষের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। ঈদের দিন দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষ আসছেন এসব স্পটে।

Advertisement

সরেজমিনে দেখা যায়, ঈদে বিনোদনের জন্য বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষ ছুটে যাচ্ছেন ভোলার তুলাতুলির বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে। পর্যটকদের আকর্ষণ করতে পর্যটন কেন্দ্রগুলো সাজানো হয়েছে নতুন রূপে। সবচেয়ে বেশি মানুষের ঢল নেমেছে ‘ইলিশাবাড়ি ‘ ও শাহবাজপুর ‘মেঘনা’ পর্যটনকেন্দ্র।

ইলিশা বাড়ি পর্যটন কেন্দ্র ঘুরতে আসা মো. সজিবুর রহমান, অনামি জাহান, মো. শরীফ, জামাল হোসেন, ঈদ ও পহেলা বৈশাখের টানা ছুটি পেয়েছে। আর ঈদ উপলক্ষে আমরা তুলাতুলি ইলিশা বাড়ি পর্যটন কেন্দ্র সপরিবারে ঘুরতে এসেছি। এখানে এসে প্রাকৃতিক খোলা বাতাস, সুন্দর পরিবেশ ও নদীর দৃশ্য সত্যি চমৎকার। এছাড়াও এখানে বাচ্চাদের জন্য বিভিন্ন ধরনের দোলনা রয়েছে। এতে শিশুরাও অনেক আনন্দ পেয়েছে।

মঞ্জুর আলম ও তৃষা ইসলাম জানান, ইলিশবাড়ি পর্যটন কেন্দ্র ঘুরতে ও খেতে আমরা সপরিবারে এসেছে। এখানে খাবারের মন খুবই সুস্বাদু। এছাড়াও শহরের চেয়ে এখানে খাবারের দামও অনেক কম। আমরা ভেসেছিলাম ঈদ উপলক্ষে বেশি হবে কিন্তু এখানে সেটা নেই।

Advertisement

মেঘনা পর্যটন কেন্দ্রে ঘুরতে আসা মো. ইমরান হোসেন, শান্তা ইসলাম, মো. কবির ও সুমি আক্তার জানান, ঈদ উপলক্ষে সপরিবারে আমরা এখানে ঘুরতে এসেছি। এখানে শিশুদের জন্য নাগরদোলাসহ বিভিন্ন ধরনের রাইস থাকায় তারা আনন্দ করেছে। এছাড়াও আমরা স্পিডবোটে করে মেঘনা নদীতে ঘুরেছি। সব মিলে বলা যায় তুলাতুলি এটিসহ কয়টি পর্যটন কেন্দ্র গড়ে উঠায় অনেক সুন্দর স্থানে পরিণত হয়েছে।

ইলিশা বাড়ি পর্যটন কেন্দ্রর পরিচালক গালিব ইবনে ফেরদৌস জানান, ঈদ ও পহেলা বৈশাখের ছুটিতে একসঙ্গে সাজানো হয়েছে পর্যটন কেন্দ্রগুলো। এসব পর্যটনকেন্দ্রে দেশী ও বিদেশি খাবারের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।

ভোলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মামুন অর রশিদ জানান, পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে ঘুরতে আসা মানুষ যাতে ছিনতাই, ইভটিজিং ও অজ্ঞানপার্টির শিকার না হয় সেজন্য জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা করা। আর ঈদের ছুটিতে সবাই যাতে পর্যটন কেন্দ্রে গিয়ে ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে পারে সেজন্যই এ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।

জুয়েল সাহা বিকাশ/আরএইচ/জেআইএম

Advertisement