দেশজুড়ে

প্রাক্তন প্রেমিকার সঙ্গে গিয়ে মারধরের শিকার, পরে মিললো মরদেহ

শরীয়তপুরের জাজিরায় আম বাগান থেকে লতিফ মোড়ল (৩৪) নামে এক যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরিবারের অভিযোগ, হত্যার পর তার মরদেহ গাছে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।

Advertisement

শনিবার (১৩ এপ্রিল) মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান। এর আগে শুক্রবার (১২ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে উপজেলার পালেরচর ইউনিয়নের দড়ি কান্দি এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

লতিফ মোড়ল একই উপজেলার ইয়াসিন আকন কান্দি এলাকার সামসুল মোড়লের ছেলে।

স্থানীয়, স্বজন ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, লতিফ মোড়ল নামের ওই যুবকের একই এলাকার একটি মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। অন্তত আট বছর আগে মেয়েটির বিয়ে হয়ে যায়। তবে মেয়েটির সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল। শুক্রবার সন্ধ্যায় মেয়েটির সঙ্গে মাঝিরঘাট এলাকায় গেলে স্থানীয়রা লতিফ মোড়লকে মারধর করে ও আটকে রাখে।

Advertisement

বিষয়টি লতিফ মোড়লের পরিবার জানলে তারা যাওয়ার আগেই লতিফ মোড়লকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়। এরপর থেকেই লতিফ মোড়লের মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। পরে রাত ১০টার দিকে পালেরচর ইউনিয়নের দড়ি কান্দি এলাকার একটি আম বাগানে লতিফ মোড়লের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পেলে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা। খবর পেয়ে ছুটে যান পরিবারের সদস্যরাও।

লতিফ মোড়লের ভাই সজিব মোড়ল অভিযোগ করে বলেন, ওই মেয়ে বিয়ের পরও আমার ভাইকে ফোন দিতো। তাছাড়া মেয়ের স্বামী সালামও ভাইয়ার সঙ্গে কথা বলতো। কাল সালাম ফোন দিয়ে আমার ভাইকে ডেকে নিয়েছে। ওরা মিলেই আমার ভাইকে মেরে গাছে ঝুলিয়ে দিয়েছে। আমরা এর বিচার চাই।

রাসেল নামের এক নিকটাত্মীয় অভিযোগ করে বলেন, আমরা লতিফকে ছাড়িয়ে আনতে যাচ্ছিলাম। এরপর আমাদের কাছে খবর আসে লতিফ নাকি গলায় দড়ি দিয়েছে। আমরা গেলে দেখতে পাই লতিফের পা মাটির সঙ্গে লেগে আছে। এছাড়া ওর শরীরের অনেক জায়গায় রক্তের দাগ ছিল। ওর উরুর দুপাশে দেখলে মনে হয় কারেন্টের শক দিয়েছে, চামড়া উঠে গেছে। এটা দেখে আমাদের সন্দেহ হয়েছে।

জানতে চাইলে জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করি। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে গলায় ফাঁস নিয়েছেন ওই যুবক। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। বাকিটা রিপোর্ট এলে বলা যাবে।

Advertisement

বিধান মজুমদার অনি/এফএ/এএসএম