প্রথম দুই ম্যাচ হারের পর তৃতীয় ম্যাচে এসে প্রথম জয়ের দেখা পেয়েছিলো দিল্লি। এরপর আরও দুটি ম্যাচে পরাজয়। ৬ষ্ঠ ম্যাচে এসে দ্বিতীয় জয়ের দেখা পেলো দিল্লি ক্যাপিটালস। এই ম্যাচটিতে রিশাভ পান্তের দল হারিয়েছে লখনৌ সুপার জায়ান্টসকে।
Advertisement
শুক্রবার রাতে অটল বিহারী বাজপেয়ী একানা ক্রিকেটে স্টেডিয়ামে স্বাগতিক লখনৌ সুপার জায়ান্টকে ৬ উইকেটে দিল্লির দলটি। তাদের জয়ে অবদান রাখলেন তরুণ ক্রিকেটার জ্যাক ফ্রেজার-ম্যাকগুর্ক। যোগ্য সঙ্গত দিলেন পান্ত নিজেও। বৃথা গেলো লখনৌয়ের আয়ুশ বাদোনির লড়াই। ঘরের মাঠে এই প্রথম ম্যাচ হারল লখনৌ।
প্রথমে ব্যাট করে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৬৭ রান সংগ্রহ করে লখনৌ সুপার জায়ান্টস। জবাব দিতে নেমে ১৮.১ ওভারে (১১ বল হাতে রেখে) ৪ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় দিল্লি।
সফরকারীদের হয়ে শুরুটা ভালই করেছিলেন পৃথ্বি শ। চালিয়েই খেলছিলেন তিনি। তবে উল্টো দিকে থাকা ডেভিড ওয়ার্নার আউট হলেন দুর্ভাগ্যজনকভাবে। যশ ঠাকুরের বল তার প্যাডে লেগে মাটিতে পড়ে স্টাম্প ফেলে দেয়। হতাশ হয়ে তাকিয়ে দেখেন ওয়ার্নার। তিনে নামা ফ্রেজার দ্বিতীয় বলেই ঠাকুরকে ছক্কা মারেন। পৃথ্বির সঙ্গে জুটি বেঁধে দ্রুত রান তুলতে থাকেন।
Advertisement
৬৩ রানের মাথায় ফিরে যান পৃথ্বি শ। ২২ বলে ৩২ রান করেন তিনি। দ্বিতীয় উইকেট পড়ার পরে আর রোখা যায়নি দিল্লিকে। ১৩তম ওভারে ক্রুণাল পান্ডিয়াকে টানা তিনটি ছয় মারেন ফ্রেজার। সেই ওভার থেকে ২১ রান ওঠে। ক্রুণালের আগের একটি ওভার থেকে ১৫ রান ওঠে।
১৪তম ওভারে অর্ধশতরান পূরণ করেন ফ্রেজার। তার পরের ওভারেই আউট হয়ে যান। নবীন উল হকের বলে আর্শাদ খানের হাতে ক্যাচ দেন। ভাল খেলছিলেন পন্থ। ১৬তম ওভারে রবি বিষনোইকে এগিয়ে এসে মারতে গিয়ে ফস্কান। স্টাম্প করেন লোকেশ রাহুল। ৪টি চার এবং ২টি ছক্কার সাহায্যে ২৪ বলে ৪১ করেন পান্ত। তবে দিল্লির জয় তাতে আটকায়নি।
আগে ব্যাট করতে নেমে লখনৌ শুরুটা ভালই করেছিল। পাওয়ার প্লে-তে ঠিক যে ভাবে শুরু করা দরকার, সে ভাবেই খেলছিলেন কুইন্টন ডি’কক। কিন্তু তৃতীয় ওভারেই খলিল আহমেদের বলে এলবিডব্লিউ হন। সেই যে লখনউয়ের উইকেট পড়ল, এর পর একে একে ব্যাটারেরা এলেন এবং গেলেন।
দেবদূত পাড়িক্কল (৩) এই ম্যাচেও ফর্মে ফিরতে পারলেন না। ব্যর্থ মার্কাস স্টোইনিস (৮), নিকোলাস পুরান (০), দিপক হুদা (১০), ক্রুণাল পান্ডিযারাও (৩)। শুক্রবার যে পিচে খেলা হয়েছে সেখানে রান করা মোটেই সহজ ছিল না। লড়াই করেন লোকেশ রাহুল। ৫টি চার এবং ১টি ছয়ের সাহায্যে ২২ বলে ৩৯ করেন।
Advertisement
তবে শেষ দিকে বাদোনি ঝোড়ো ব্যাটিং করবেন কেউ ভাবতে পারেননি। তিনি যে সময়ে ব্যাট করতে এসেছিলেন, তখন ৬ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল লখনৌ। কিছুক্ষণ পরে ক্রুণাল ফেরায় সাত উইকেট হারায় তারা। সেখান থেকে আর্শাদ খানকে নিয়ে একা লড়াই করলেন। শেষ পর্যন্ত অর্ধশতরান করে অপরাজিত থাকেন বাদোনি। যা অবশ্য কাজে লাগেনি।
আইএইচএস/