ইউক্রেন ২০২৪ সালেই রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে হেরে যেতে পারে বলে মনে করছেন ব্রিটিশ জয়েন্ট ফোর্সেস কমান্ডের সাবেক কমান্ডার জেনারেল স্যার রিচার্ড ব্যারনস। তার মতে, ইউক্রেনের হয়তো অনুধাবন করতে শুরু করবে, তারা এই যুদ্ধে জিততে পারবে না।
Advertisement
‘আর যখন এটি সেই পর্যায়ে পৌঁছায়, মানুষ কেন আর লড়াই করতে চাইবে? কেন মরতে চাইবে অপ্রতিরোধ্যকে আটকানোর জন্য?’
আরও পড়ুন>>
গোলাবারুদের অভাবে রণক্ষেত্র থেকে পিছু হটলো ইউক্রেন সাহায্য না পেয়ে `গোসসা' করেছেন জেলেনস্কি, মার্কিন সিনেটে ভাষণ বাতিল পশ্চিমা সহায়তায় টান/ রাশিয়াকে আর কতদিন ঠেকাতে পারবে ইউক্রেন?ইউক্রেন এখনো সেই অবস্থানে পৌঁছায়নি। তবে তাদের বাহিনী যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার মতো গোলাবারুদ, সৈন্য ও আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার চরম ঘাটতিতে ভুগছে। ইউক্রেনীয়দের বহুল প্রত্যাশিত পাল্টা আক্রমণ ব্যর্থ হয়েছে এবং রুশ বাহিনী এরই মধ্যে গ্রাষ্মকালীন আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
Advertisement
কেমন হবে যুদ্ধের পরিস্থিতি?জেনারেল ব্যারনস বলেন, রুশ আক্রমণের আকৃতি যা আসতে চলেছে তা বেশ পরিষ্কার। আমরা রাশিয়াকে সম্মুখ সারিতে আক্রমণাত্মক হতে দেখছি। আর্টিলারি, গোলাবারুদ এবং নতুন অস্ত্রের ব্যবহারে চাঙ্গা লোকদের কারণে তারা ৫-১ প্রাধান্য পাচ্ছে।
তিনি বলেন, এই গ্রীষ্মের কোনো এক সময়ে আমরা রাশিয়ার একটি বড় আক্রমণ দেখতে পারি। আর যদি এটি ঘটে, তবে রুশ বাহিনী বাঁধা ভেঙে এগিয়ে যেতে পারে, যেখানে ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনী তাদের থামাতে পারবে না।
কোথায় হবে আক্রমণ?গত বছর রাশিয়া জানতো, ইউক্রেন ঠিক কোথায় পাল্টা আক্রমণ করতে পারে- জাপোরিঝিয়া থেকে দক্ষিণে আজভ সাগরের দিকে। তারা সেই অনুযায়ী পরিকল্পনা করেছিল এবং সফলভাবে ইউক্রেনের আক্রমণ ব্যর্থ করে দিয়েছিল।
আরও পড়ুন>>
Advertisement
ব্রিটিশ থিংকট্যাংক রয়্যাল ইউনাইটেড সার্ভিসেস ইনস্টিটিউটের (রুসি) ল্যান্ড ওয়ারফেয়ারের সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. জ্যাক ওয়াটলিং বলেন, ইউক্রেনীয়দের জন্য চ্যালেঞ্জ হলো, রাশিয়া তাদের বাহিনীকে কোথায় মোতায়েন করবে তা বেছে নিতে পারে।
তিনি বলেন, এটি একটি দীর্ঘ ফ্রন্টলাইন এবং ইউক্রেনীয়দের এর পুরোটা রক্ষায় সক্ষম হতে হবে। কিন্তু, তারা সেটি পারছে না। ফলে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী অবস্থান হারাবে। প্রশ্ন হলো, কতটা?
খারকিভরুশ সীমান্তের কাছে বিপদজনকভাবে অবস্থিত খারকিভ মস্কোর জন্য একটি লোভনীয় লক্ষ্য। শহরটিতে বর্তমানে প্রতিদিনই রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হচ্ছে। সেগুলো প্রতিরোধের জন্য পর্যাপ্ত আকাশ প্রতিরক্ষার ব্যবস্থা করতে পারেনি ইউক্রেন।
ডনবাসপূর্ব ইউক্রেনের এ অঞ্চলটিতে ২০১৪ সাল থেকেই যুদ্ধ চলছে। ২০২২ সালে রাশিয়া ডনবাসের লুহান্স ও দোনেৎস্ক প্রদেশকে নিজ ভূখণ্ডের সঙ্গে সংযুক্ত ঘোষণা করে। বিগত ১৮ মাস ধরে এখানেই বেশিরভাগ লড়াই হয়েছে।
আরও পড়ুন>>
এক সপ্তাহে দুটি গ্রাম হাতছাড়া হলো ইউক্রেনের ইউক্রেনের ‘প্রতিরোধের প্রতীক’ আভদিভকা শহর দখলে নিলো রাশিয়া যুক্তরাষ্ট্র-ইউরোপের তিনগুণ বেশি আর্টিলারি তৈরি করছে রাশিয়াপ্রথমে এ অঞ্চলের বাখমুত এবং পরে আভদিভকা শহর ধরে রাখতে প্রচুর চেষ্টা চালিয়েছিল ইউক্রেন। কিন্তু তাতে তারা চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। এসময় নিজেদের কিছু সেরা সৈন্য বাহিনীও হারিয়েছে ইউক্রেন।
জাপোরিঝিয়াএটিও মস্কোর জন্য একটি লোভনীয় পুরস্কার। দক্ষিণ ইউক্রেনীয় শহরটি রাশিয়ার ফ্রন্টলাইনের খুব কাছাকাছি অবস্থিত।
সূত্র: বিবিসিকেএএ/