ঈদের দিন বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) বিকেলে কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় এক্সপ্রেসওয়েতে একটি প্রাইভেটকারে আগুন লাগে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট যেতে গেলে এক্সপ্রেসওয়ের টোল প্লাজায় আটকে দেওয়া হয় ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি।
Advertisement
টোল না দেওয়ায় এক্সপ্রেসওয়েতে উঠতে দেয়নি ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি। পরে বিকাশ থেকে অনলাইনে টোল পরিশোধ করে এক্সপ্রেসওয়েতে ওঠার অনুমতি পায় ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি।
ফায়ার সার্ভিস বলছে, অগ্নিকাণ্ড কিংবা যেকোনো দুর্ঘটনায় আগুন নিয়ন্ত্রণ ও উদ্ধারকাজে দ্রুত পৌঁছাতে হয় ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের। এক্সপ্রেসওয়েতে যদি আগুন নিয়ন্ত্রণে টোল দিতে হয় তাহলে আগুন নিয়ন্ত্রণে অনেক সময় লেগে যাবে। এতে করে ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের সংখ্যাও বাড়বে।
শুক্রবার (১২ এপ্রিল) রাতে জানতে চাইলে ফায়ার সার্ভিসের ঢাকা বিভাগের উপ-পরিচালক সালেহউদ্দিন জাগো নিউজকে বলেন, ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিটকে টোল পরিশোধ করে এক্সপ্রেসওয়েতে উঠতে হয়েছে আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে।
Advertisement
আরও পড়ুন: ঈদের বিকেলে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে প্রাইভেটকারে আগুন
তিনি বলেন, টোলের সিদ্ধান্তটি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের। এ বিষয়ে আমাদের কিছু বলার নেই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ফায়ার সার্ভিসের একজন কর্মকর্তা জাগো নিউজকে বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণ করতেও যদি টোল দেওয়া লাগে তবে ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের সংখ্যা বাড়বে। কর্তৃপক্ষের উচিত টোল প্লাজায় যেন ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি টোলমুক্ত রাখা হয়।
ঈদের দিন বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) বিকেল ৫টা ১৬ মিনিটের দিকে কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় এক্সপ্রেসওয়ের ওপর একটি প্রাইভেটকারে আগুন লাগে। পরে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা আসতে আসতে মাত্র ২৫ মিনিটেই পুড়ে যায় গাড়িটি।
Advertisement
আগুন নেভাতে কুর্মিটোলা ফায়ার স্টেশন থেকে ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে সময় লাগার কথা পাঁচ মিনিট। কিন্তু রাস্তায় সময় আগে প্রায় ২০ মিনিট। এর মধ্যে টোল দিতেই সময় লেগেছে ১০ মিনিট।
টিটি/এমআরএম